চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি গ্রামে ছেলেকে বখাটেদের সাথে চলতে নিষেধ করার সময় নাছিমা বেগম (৩৮) নামের অসহায় বিধবা নারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত নারী বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি গ্রামের গাজী বাড়িতে রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত নাছমা বেগম ওই বাড়ির মৃত মোহাম্মদ গাজীর স্ত্রী।
নাছিমা জানান, স্বামী মারা যাবার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে তিনি হামানকর্দি কমিউনিটি ক্লিনিকে আয়া হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ছোট ছেলে ঠিকমত কাজকর্ম না করে বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেয়ায় শনিবার রাতে তার ছেলেকে তিনি বখাটে ছেলেদের সাথে মিশতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে মা ছেলের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তার বড় ছেলে এসে ছোট ছেলেকে ওইসব বিষয় নিয়ে ডাক দোহাই দিলে তাদের বাড়ির পাশের ঘরের মুসলিম গাজীর দুই ছেলে হাসিম গাজী ও কাদির গাজী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে তার বড় ছেলেকে মারধর করতে করতে টেনে নিয়ে যায়।
এসময় হাসিম এবং কাদিরের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও ফাতেমা বেগম ও তার ছেলেকে মারধর করেন। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য নাছিমা বেগম এগিয়ে আসলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথা এবং হাতে আঘাত করে। এতে নাছিমা বেগম অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।
এ ব্যাপারে হাসিম গাজী জানান নাছিমা বেগমের ছোট ছেলে আমার সাথে চলাফেরা করাতে তিনি প্রায়ই বলেন আমি নাকি তার ছেলেকে খারাপ বানাই। শনিবার রাতেও তিনি আমাদের ঘরের কাছে এসে তার ছেলের সাথে ঝগড়া করতে দেখে আমি তাকে আমাদের কাছ থেকে সরে গিয়ে ঝগড়া করার কথা বলি। এ নিয়ে তাদের সাথে আমাদের ঝগড়া হয়। আমরা তাকে মারিনি বরং তাদের লোকই তাকে মেরেছে।
এ ব্যাপারে হাসিম গাজী ও কাদির গাজীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদক-কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ৫৯ এএম, ২১ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur