‘বকেয়া বিল না দেয়ায়’ চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির সকল প্রকার অনলাইন সেবাসহ অনেক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদগুলো বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর দেশে অন-লাইনের মাধ্যমে সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
সেখানে বকেয়া বিলের অর্থ পরিশোধ না করায় সরকারের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিষয়টি অনেককেই মেনে নিতে পারছেন না।
কিছুদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন, তথ্য সংগ্রহসহ অনলাইন মাধ্যমের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সদর এলাকার বালিয়া অভিযোগ কেন্দ্রের অফিস প্রধান খলিলুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েক মসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোদের জন্য বেশ কয়েকবার বলা হলেও পরিষদ কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করনেনি। তাই বাধ্য হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে। ৭ থেকে ৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিল পরিষদ করা হলে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ আমরা দিয়ে দিবো।’
এ বিষয়ে ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের এখনো দায়িত্বে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ কেরানী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হওয়াটা রাজনীতির অংশ হিসেবে আমি মনে করি। তাদেরকে বারবার বিচ্ছিন্ন না করতে বলা সত্ত্বেও সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ‘সবেমাত্র নির্বাচন শেষ হয়েছে এসময়ে পরিষদের আয় একেবারেই নেই। তাই বিদ্যুৎ বিলটি বকেয়া হয়ে পড়ে রয়েছে। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আর বেশি দিন নাই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই কাজটি করেছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি দ্বায়ীত্ব নেয়ার সময় ৯ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল তখন আমি কিছুই বলিনি। তখনতো আর এভাবে বিদ্যুৎ বিছিন্ন করা হয়নি। যাই হোক না কেনো আমাকে বিদায় বেলায় হেয় করার জন্যই এই ব্যবস্থা।’
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:২০ পিএম, ২৫ জুন ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ