Home / চাঁদপুর / ফ্রিল্যান্সিংয়ে আলোর মুখ দেখছেন চাঁদপুরের আরিফ ও আজাদ
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আলোর মুখ দেখছেন চাঁদপুরের আরিফ ও আজাদ

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আলোর মুখ দেখছেন চাঁদপুরের আরিফ ও আজাদ

জেলা শহর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সে আলোর মুখ দেখছেন চাঁদপুরের আরিফ ও আজাদ। দু’জনে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প এলইডিপির চাঁদপুর সরকারি কলেজ ভেন্যুর লার্নার।

তাদের লার্নিং (শেখা) অবস্থায় অনলাইনে আয় করার বিষয়টি অন্যদের উৎসাহ যুগিয়েছে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নিয়ে লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলার আয়োজন করা হয়।
চাঁদপুরে দিনব্যাপি এ মেলায় ৪০টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে লার্নিং এন্ড আর্নিং বিষয়ে ব্যাপক ধারণা গ্রহণ করেন।

চলমান এ প্রকল্পে ৫০ দিনের গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে যারা লার্নিং অবস্থায় আর্নিং শুরু করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তাদের অনেককেই আবেগঘন কণ্ঠে অভিভ্যাক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এদের মধ্যে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় এ দু’ফ্রিল্যান্সারের সাথে।

এ বিষয়ে ফ্রিল্যান্সার আরিফ মাহমুদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এইচএসসি শেষে ইচ্ছা ছিলো সিএসই নিয়ে পড়ালেখা করার কিন্তু হয়ে উঠেনি। অবশেষে ঠিক করলাম গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করবো। ফেসবুকে এলইডিপি প্রকল্পের হেড অব দা ট্রেইনার ও আইটি বিশেষজ্ঞ মো: ইকরাম” স্যারের দেওয়া পোস্টে দেখে জানতে পারলাম লার্নি এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টেরর আওতায় রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ আছে। সাথেই সাথেই রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম।’

রেজিস্ট্রেশন শেষে আরিফ ৫০ দিনের এলইডিপি কোর্সে চাঁদপুর কলেজ কেন্দ্রে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। ট্রেনিংরত অবস্থায় তিনি ২১০ ডলার উপার্জন করেন।

ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে মযার্দাপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে নতুনদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সর্বপ্রথম দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সহজে সফল হওয়া যায়।

এ বিষয়ে কথা হয় অপর শিক্ষানিবেশ ফ্রিল্যান্সার মতলবের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি জানান এইচ.এস.সি সমাপ্ত করার পর উচ্চ শিক্ষায় গ্রহণ করতে পারেননি। বিভিন্ন পেশায় একাধিক চেষ্টা ও সবার নিকট থেকে আড়াল করে সফলতার দেখা পাননি। বন্ধুর কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে ধারণা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনিও একই ব্যাচের স্টুডেন্ট ছিলেন।

বেকারমুক্ত সমাজ গড়তে ফ্রিল্যান্সিং ই একমাত্র হাতিয়ার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবুল কালাম আজাদ।

এদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈধ-অবৈধভাবে বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি শ্রমজীবী লোক অবস্থান করে শ্রমের মাধ্যমে যে যে খাত থেকে যেভাবে অর্থ উপার্জন করে বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স পাঠাচ্ছে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিও এর একটি।’ পার্থক্য হচ্ছে-দেশের ভেতরে নিজ বাসায় থেকে এ কাজটি করার সুযোগ পাচ্ছে।

দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং ’ খাতটি এখন জেলা থেকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চলে আসছে।

এ ক্ষেত্রে দেশের বিরাট একটি বেকার অংশ আয়বর্ধন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নিজদের স্বাবলম্বী ও দক্ষ নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে। চাঁদপুরের আইটি জগতের উদ্যোমী ও উদ্যোগীরাই এ খাতকে চাঙ্গা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবে।

চাঁদপুরে বর্তমানে ১ লাখ ৬৫ হাজার লোক বিদেশে শ্রম বিক্রি করে র‌্যামিটেন্স পাঠাচ্ছে ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। বাকিরা লার্নিং এন্ড আর্নিংয়ে এগিয়ে আসলে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনপূর্বক সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে বলে আইটি বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ৩০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply