জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি মর্তুজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশালীন স্ট্যাটাস, মন্তব্য করা ও পোস্ট শেয়ার করায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে তাদের কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশগুলো অনুসারে, অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হলেন চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্টার ডা. আইরিন আফরোজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদী হাসান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক টাইমলাইনে মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে অশালীন এবং অযাচিত ভাষা ব্যবহার করে পাবলিক পোস্ট দেয়া হয়।
একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ আচরণ অনুচিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।
তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথাপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য ও জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি গত ২৫ এপ্রিল নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে উপস্থিত পাননি তিনি। এমনকি নার্সও ছিলেন মাত্র দু’জন। তিনি হাজিরা খাতায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের হাজিরাও দেখতে পাননি। অনুপস্থিত কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তারা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকরা হলেন- সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. মো. আখতার হোসেন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. শওকত আলী, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. রবিউল আলম ও মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম সায়েম।
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিভিন্ন চিকিৎসকরা মাশরাফির সমালোচনা করে তাকে নিয়ে অশালীন ভাষায় পোস্ট দেন। (বিডি২৪লাইভ)
বার্তা কক্ষ
৮ মে ২০১৯