বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেছেন, সেনাবাহিনী নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সমাজ ও জাতি গঠনের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) ঢাকায় আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ধরে রেখে সংবিধান সমুন্নত রাখার আর্দশিক প্রেরণায় সেনাবাহিনীর উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুনে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন সেনা সদস্যকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও রেজিস্ট্রেশনসহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্ব সহকারে ভুমিকা পালন করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে সেনাবাহিনীর সুপরিকল্পিত তরিৎ পদক্ষেপ আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে ব্যাপক প্রসংশা পেয়েছে।
সেনাবাহিনী বিশ্ব দরবারে বাংলাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে জানিয়ে শফিউল হক বলেন, সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, কর্মনিষ্টা ও পেশাদারিত্বের বিনিময়ে দেশের সীমা ছাড়িয়ে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। শিক্ষা-দীক্ষা জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।
সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিস্মায়নের যুগে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। পারস্পরিক মর্যাদা, সঠিক মূল্যবোধের মাধ্যমে আমাদের বহুযুগের সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। সবার সহযোগিতায় প্রতিকূলতা দুর করে আমরা একটি দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলবো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৩ জন বীরশ্রেষ্ট, ৫ জন বীর উত্তম,৭ জন বীর বিক্রম ও ২২ জন বীরপ্রতীক ও তাদের স্বজনদেরসহ মোট ৩৭ জনকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। সেনাপ্রধান উপস্থিত খেতাবপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও তাদের স্বজনদের হাতে উপহার সামগ্রী বিতরণ ও কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।