সারাদেশ

ফের বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ : স্বস্তি নেই সবজিতেও

রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকার মতো। এদিকে বাজারে শীতের সবজি ভরপুর থাকলেও তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। সরবরাহ বাড়লেও কোনো সবজির দাম কমেনি, বরং কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। (খবর জাগো নিউজ)

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রফতানি বন্ধ করায় পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। রেকর্ড ২৫০ টাকায় পৌঁছে যায় পেঁয়াজের কেজি। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম কিছুটা কমে। এতে কয়েক সপ্তাহ জুড়েই রাজধানীর বাজারগুলোতে নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা কেজির মধ্যে।

কিন্তু এখন আর কোনো বাজারেই ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার ভেদে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম এমন লাফিয়ে বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে আবারও দাম বেড়েছে।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, চাষিরা বাড়তি দামের কারণে আগেই তোলা শুরু করায় এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। পরিস্থিতির সামনে হয়তো পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

খিলগাঁওয়ে ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন শ্যামবাজারেই পেঁয়াজের কেজি পড়েছে ১২০ টাকা। এই পেঁয়াজ এনে ১৪০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। পাইকারিতে দাম কমলে আমরা আবার পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দেব।

এদিকে পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজের সঙ্গে স্বস্তি দিচ্ছে না সবজির দামও। গত সপ্তাহের মতো বাজার ও মানভেদে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। আর আমদানি করা পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

গত সপ্তাহে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও গাজরের দামে কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে বেড়েছে। ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা।গত সপ্তাহে যে ফুলকপি ২০-২৫ টাকা পিস বিক্রি হয় তার দাম বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা হয়েছে। আর ৪০ টাকায় নেমে আসা গাজর আবার ৫০ টাকায় উঠেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে নতুন গোল আলুর কেজি ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, শালগম ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরার ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, আড়তে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু আড়তে কোনো সবজির কমতি নেই। এরপরও কেন দাম বাড়ছে বুঝতে পারছি না। আজ আবার বৃষ্টি হলো। এই বৃষ্টি যদি আর দুই-একদিন থাকে তাহলে তো সবজির দাম আরও বেড়ে যাবে।

হাজীপাড়ার বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ভাই আমাদের কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। একের পর এক জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা হয়েছে। সবজির দামও বেশি। অথচ বাজারে শীতের সব সবজি রয়েছে। জিনিসপত্রের বাড়তি দামের কারণে খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এরপরও সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিন্তু যাদের টাকা আছে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তারা ঠিকই প্যাকেট ভরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা কক্ষ,৩ জানুয়ারি ২০২০

Share