Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটে দু’গ্রুপের চাঁদাবাজিতে যান চালকরা অতিষ্ঠ
ফেরি চলাচল
ফাইল ছবি

চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটে দু’গ্রুপের চাঁদাবাজিতে যান চালকরা অতিষ্ঠ

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরীঘাটে এলাকায় দীর্ঘদিনের নীরব চাঁদাবাজি এখন যেনো ওপেন সিক্রেট হয়ে দাড়িয়েছে।

ওই এলাকার দু’টি গ্রুপ দুই ভাগে ফেরীঘাটে আসা ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ির চালক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হরিণা ফেরীঘাটে একটি তেলের ভাউচার থেকে দুটি গ্রুপ দুই ভাগে চাঁদবাজির করছে এমন খবর শুনে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে লরি চালক কর্তৃক চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতে না পারায় পুলিশ খালি হাতে ফিরে আসেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ঢ-৪১-০৩৫৯ নং –এর একটি তেলের লরি বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটে আসে।

এসময় ওই রাতে স্থানীয় লেংরা খোরশেদের নেতৃত্বে একদল যুবক লরির চালকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে অপর একটি গ্রুপ এসে পুনরায় ওই লরি চালকের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

বিষয়টি তিনি পুলিশকে অবহিত করলে সাথে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসানুজ্জামান লাবুর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে ছুটে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকার চিহ্নিত একাধিক যুবককে ধরে এনে লরি চালকদের সামনে আনে। কিন্তু লরি চালক আরমান ও হেলপার বাবু তাদের কাছে চঁদা নেয়া যুবকদের চিহ্নিত করতে না পারায় পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় অনেকই জানান, রোববার রাতে লরি চালকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছে
স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাবু ছৈয়ালের গ্রুপ।

তার শ্যালক লেংরা খোরশে ও ছেলে নেতৃত্বে স্থানীয় হাসান, হাবিব, জসিমসহ একটি দল দীর্ঘদিন হরিণা ফেরীঘাটে চাঁদাবাজি করে আসছে।

অপর দিকে রোববার সকালে যে গ্রুপটি ৫ হাজার টাকা দাবি করেছে সেটি হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে আ. ছাত্তার রাঢ়ির লোক। চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার ভাতিজা আহসানের নেতৃত্বে একটি দল বর্তমানে ফেরীঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে।

এ বিষয়য়ে হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. ছাত্তার রাঢ়ি বলেন, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার কোনো দল নেই। যারা এই ধরনেই মিথ্যা অভিযোগ করেছে মূলত তারাই এই কাজের সাথে জড়িত। একজন জনপ্রনিধি হিসেবে আমি সকল প্রকার অন্যায় কাজের বিরোধিতা করি। আমি চাই হরিণা ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’

কারা এর সাথে জড়িত তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের নাম বলতে পারি না।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবু ছৈয়াল জানান, ‘আমার পরিবারের কেউ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। যারা এসব বলে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে। আমার পরিবারের সবাই ব্যবসা করে এবং আমি নিজেও ব্যবসা করি। তবে ফেরীঘাটের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ছেলে এবং তার ভাতিজা।’

তার দাবি, ‘লরি চালকের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অপরাধে পুলিশ চেয়ারম্যানের ভাতিজাকে আটক করলেও উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ফেরীঘাট কর্মকর্তা ইমরান হোসেন চাাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন ফেরীঘাটের এই পাড়ে (চাঁদপুর) ফেরী কম থাকার চাঁদাবাজি হয় না।’

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটে দু’গ্রুপের চাঁদাবাজিতে যান চালকরা অতিষ্ঠ

About The Author

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম

Leave a Reply