ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অদূরে উৎপত্তি হওয়া মেঘমালা থেকে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ফুঁসতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। ইতোমধ্যে সৃষ্ট হতে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়টিকে যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে বর্ণনা করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আগামি দু’দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। এর প্রভাবে দেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সে সাথে দেশের অন্যত্র মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে তারা। যার ফলে সারা দেশে যে বৃষ্টি চলছে, তার স্থায়িত্ব আরও ৪ থেকে ৫ দিন বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
অন্যদিকে বৈশ্বিক আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা আকু ওয়েদার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপটি নিয়ে প্রতিবেদনে জানায়, বঙ্গোপসাগরে চলতি বছরের প্রথম এ ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে যাচ্ছে। যার প্রভাব থাকবে ৩০ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে।
২ মে ‘র মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘আম্ফান’। তবে এটি কোন উপকূলে আছড়ে পড়বে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সাগরে থিতু হলেই তারপর বুঝা যাবে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বা সেটি কোথায় আছড়ে পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু আসার আগের এ সময়ে কোনো নিম্নচাপ খুব বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। তবে এর সঙ্গে প্রচুর মেঘ তৈরি হয়। ফলে এর প্রভাব যতটা না বাতাস বইবে, তার চেয়ে বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা বেশি।
উত্তর ভারত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম পর্যায়ক্রমে এর উপকূলীয় আটটি দেশ রেখে থাকে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এবারের ‘আম্ফান‘ নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বেশি ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে। আর রাজধানী ঢাকায় হয়েছে চার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। আগামিকাল রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আজ বুধবার সূর্যোদয় হয়েছে ৫ টা ২৬ মিনিটে। সূর্যাস্ত হবে ৬ টা ২৬ মিনিটে।
বার্তা কক্ষ , ২৯ এপ্রিল ২০২০
এজি