ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে দুই শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। দ্বীপরাষ্ট্রটির দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপে ঝড়টি আঘাত হানে। ঝড়ের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে কয়েকটি শহর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে এবং এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় তেম্বিন শুক্রবার মিন্দানাও দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এখানে দুই কোটি লোকের বাস। ঝড়টি ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় এবং এর প্রভাবে প্রবল বর্ষণ সৃষ্টি হয়। এর ফলে সপ্তাহান্তে কমপক্ষে একটি পাহাড়ের পাদদেশের গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ওই এলাকায় ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
পুলিশ জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৪৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়াও ৪০ হাজারের বেশি লোক আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে।
রোববার ভোরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় তেম্বিনে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে অগ্রসর হয়ে আঘাত হানে।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) জানিয়েছে, ঝড়ের আঘাতের কারণে এখন পর্যন্ত মোট ৭০ হাজার লোক গৃহহীন অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অব্যাহত ভারী বর্ষণের কারণে জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হতে পারে।
আইএফআরসি’র ফিলিপাইনস অপারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রামস ম্যানেজার প্যাট্রিক ইলিওট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে গেছে।’
ফিলিপাইনে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি বড় ধরনের ঝড় আঘাত হানে। তবে মিন্দানাওয়ে খুব একটা ঝড় দেখা যায় না।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ঝড়ের কারণে মিন্দানাওয়ের উত্তরাঞ্চলে ১৩৫ জন নিহত ও ৭২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
জাম্বায়াঙ্গার পশ্চিমাঞ্চলে ঝড়ের আঘাতে ৪৭ জনের প্রাণহানি ও ৭২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
দ্বীপটির মধ্যাঞ্চলে লানাও ডেল সুর প্রদেশে ঝড়ের আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এএস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur