চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডে চাঁদপুরের কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামের নিহত এমরান হোসেন মজুমদারের বাড়িতে থামছে না স্বজনদের আহাজারি। মৃত্যুর সংবাদে ভারী হচ্ছে কান্নার মিছিল। মৃত্যুর সংবাদ কোনো ভাবেই মানতে পারছেন না স্ত্রী ও তার স্বজন পরিবার।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার সিংআড্ডা গ্রামের মৃত. মকবুল হোসেনের ছেলে এমরান হোসেন মজুমদার ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ফায়ার লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভিতরে শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড রোধ করেত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সাথে যান তিনি। সেখানে রাসায়ানিক পদার্থ বিস্ফোরনে মারা যান তিনি।
নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘শনিবার রাত ৯টায় সর্বশেষ আমার স্বামীর সাথে কথা হয়। ওই সময় তিনি আমার শারিরীক প্রতিবন্ধী সন্তান ও আমার খোঁজখবর নেন। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি কাজে যান। পরে রাতে তার মোবাইলে ফোন বন্ধ দেখি এবং ভোরে ঘুম ভেঙ্গে অগ্নিকান্ডের খবর জানতে পেরে তার মোবাইলে বারবার ফোন দেই। আমার দুটি সন্তান ও অনাগত সন্তানের কী হবে এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।’
প্রতিবেশী ঢাকায় কর্মরত ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের সাবেক উপ-পরিচালক আমির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘এমরান মজুমদার খুবই সাহসী ফাইটারম্যান ছিলেন। তার সাহসিকতায় আমরা মুগ্ধ ছিলাম। তিনি দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া তার লাশ ফেরত ও সরকারের সহযোগিতা চাই। এদিকে নিহত এমরান হোসেন মজুমদারের লাশ ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে ফিরবে এমন অপেক্ষায় রয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।’
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৬ জুন ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur