ফ্রান্স তবু একবারের শিরোপা জয়ী দল। টপ ফেভারিটের তালিকায় না থাকলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদেরও সম্ভাবনা দেখছিলেন কেউ কেউ। তারুণ্য নির্ভর দুর্দান্ত একটা দল যে তাদের। তার উপর ডাগআউটে রয়েছেন দিদিয়ের দেশম। যার অধিনায়কত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপে, পল পগপা, উসমানে ডেম্বেলে, আতোইন গ্রিজম্যানের মতো তারকা তাদের দলে। কিন্তু বেলজিয়াম?
না ফেভারিটের আলোচনায় কখনোই ছিল না তারা। কিন্তু একঝাক নন্দিত ফুটবলার তাদের দলেও। রোমেলু লুকাকু, আইডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনদের দলটাকে বলা হচ্চে বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম। সেই সোনালী প্রজন্মে ভর করেই এখন স্বপ্নের দ্বার প্রান্তে দলটি। বিশ্বকাপের যাদের সেরা সাফল্য ১৯৮৬ বিশ্বকাপে চতুর্থ হওয়া।
এই দুই দলের সম্পর্কটা অবশ্য খুবই ঘনিষ্ট বলতে হবে। মোট ৭৪ বার মুখোমুখি লড়াই হয়েছে এই দুই দলের। যেখানে অবশ্য বেলজিয়ামের জয়ের পাল্লাই ভারি। ৩০ বার জিতেছে বেলজিয়াম, ২৪ ম্যাচে ফ্রান্স আর ১৯ ম্যাচ ড্র হয়। বিশ্বকাপে অবশ্য দুই দলের ২ বারের দেখাতেই জয় ফ্রান্সের। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে যে চতুর্থ হওয়ার বেলজিয়ামের, সেটি ফ্রান্সের কাছে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হেরেই।
কিন্তু বেলজিয়াম এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে অপরাজেয়। সবচেয়ে বেশি গোল করা দলটিকে হারানো ফ্রান্সের জন্যও সহজ হওয়ার কথা নয় কখনোই। অপরাজেয় দল ফ্রান্সও। তবে গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচ ড্র করে তারা। আর নট আউট পর্বে তো মুগ্ধকর ফুটবল খেলেছে দুই দল। শেষ ষোলেতে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারায় ফ্রান্স। আর বেলজিয়াম যে ৩-২ গোলে জাপানকে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠে আসে, সেই ম্যাচটি এক রকম ইতিহাসই হয়ে থাকবে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় বেলজিয়ামের।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে সেমি ফাইনালে ব্রাজিল আর দুরন্ত উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স। এখন দুই দলের লড়াই। যারা জিতবে ফাইনালের উঠার লড়াইয়ে তাদের সঙ্গী হবে ইংল্যান্ড বা ক্রোয়েশিয়া।
দুই দলের কোচই অবশ্য তাদের শিষ্যরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এম্যাচে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম আর বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্তিনেজেরও একটা লড়াই হবে তাই। দর্শকরা চেয়ে থাকবে শেষ পর্যন্ত কার জয় হয় সেটি দেখতে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur