করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) মহামারি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করা টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করায় এবং সম্ভাব্য কোনো ক্ষতির ঝুঁকি না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির বানানো টিকাটির অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও।
বৃহস্পতিবার টিকাটির অনুমোদন দেয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবকয়টি দেশের জন্য টিকাটির আমদানি ও বিতরণের দ্রুত অনুমোদনের পথ প্রশস্ত হলো। খবর সিএনএনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগেই জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ইইউভুক্ত দেশগুলোও ফাইজারের টিকা গণহারের ব্যবহার অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, টিকাটি জরুরি তালিকাভূক্তির ফলে বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পক্ষে টিকার অনুমোদন ও বিতরণের পথ তৈরি হলো। এছাড়া যেসব দেশে টিকা প্রয়োজন সেসব দেশে বিতরণের কাজটি এখন সহজেই করতে পারবে ইউনিসেফ ও প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মারিয়েঞ্জালা সিমাও বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর টিকা বৈশ্বিক প্রাপ্তির নিশ্চিত করতে এটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে আমি সর্বত্র অগ্রাধিকারমূলক জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহের জন্য বিশ্বব্যাপী আরও বৃহত্তর প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে চাই।’
গত ৮ ডিসেম্বর ব্রিটেন প্রথম ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর বাহরাইন, কানাডা, সৌদি আরব, মেক্সিকো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এছাড়া ইসরায়েলেও ফাইজারের টিকার চালান পৌঁছে।
ফাইজারের টিকাটি অতি নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এটি উদ্ভাবনে সহযোগিতা করেছে জার্মানির জৈব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানের একটি কাঁচাবাজার থেকে করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলে বলে দাবি করে আসছে দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এরপর ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বকে সংক্রমিত করে করোনা। কোভিডের থাবায় এ পর্যন্ত সোয়া ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যাও আট কোটি ৩৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১ জানুয়ারি ২০২০