বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘আপত্তিকর’ বিবৃতির ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা হাইকমিশনে একটি চিঠি দিয়ে হাইকমিশনার সুজা আলমকে আগামীকাল সোমবার বেলা আড়াইটার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই বিবৃতির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারকে ত্রুটিপূর্ণ বিচার উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালের ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশে যে ত্রুটিপূর্ণ বিচার চলছে সে বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেছি।’
পাকিস্তান সরকার বলছে, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ৯ই এপ্রিল যে সমঝোতা হয়েছে সে অনুসারে বাংলাদেশে জাতীয় সমঝোতার প্রয়োজন আছে। এই সমঝোতায় ১৯৭১ সালের ব্যাপারে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর কথা বলা হয়েছে। এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি আরো বাড়বে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই রায় শনিবার রাত ১২টা ৫৩ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিচার প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান থেকে তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী আনার জন্যে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আইনি কারণেই তা মঞ্জুর করা হয়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ০৪:৪৭ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ