ফরিদগঞ্জে থেমে নেই ফসলি জমির মাটি কাটা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অবাধেই কাটছে কৃষি জমির মাটি। এ মাটি ব্যবহার হচ্ছে ইটভাটাসহ নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজে। মাটিবাহী যন্ত্র ধানব এ ট্রাক্টর অবাধ চলাচলে গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক, এতে প্রতি বছরের সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

ট্রাক্টরের মাটি পাকা সড়কে পড়ে পিচ্ছিল হয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। আবাদি জমির ওপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কেটে নেয়ায় কমছে ঊর্বরতা। এতে ফসলের উৎপাদন কমার পাশাপাশি কমছে চাষাবাদ, ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়। এ যেন দেখার কেউ নেই।

ফরিদগঞ্জ উপজেলাব্যাপী একাধিক সিন্ডিকেট মাটির ব্যবসায় সক্রিয়। এরসাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাত করে অবাধে কেটে চলেছে কৃষি জমির ওপরিভাগের ঊর্বর মাটি। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে চাষাবাদ। বেশিরভাগ মাটি কিনছেন ইটভাটার মালিক কিংবা নতুন করে ঘরবাড়ি করা বিত্তবান ব্যক্তিরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় মাটিও আমদানি নির্ভর হতে হবে আমাদের।

বালিথুবা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান ও গুপ্টি এলাকার কৃষক সহিদ উল্লাহ চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, টাকার লোভে অনেক জমির মালিক মাটি বিক্রিতে ঝুঁকছেন। ১০-১২ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি হচ্ছে। ফলে পাশের জমির মাটিও ভেঙ্গে পড়ছে। বাধ্য হয়ে ওইসব জমির মাটিও বিক্রি করছেন মালিকরা। স্কাভেটর মেশিন দিয়ে রাতের আধারে এসব মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দিচ্ছে তারা। এসব দেখেও প্রশাসন নীরব।

উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জে ২৬টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি ভাটার কোন কাগজপত্র নেই। ভাটার ইট তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে মাটি। এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নিষিদ্ধ টায়ার। ভাটাগুলো কৃষি জমির আশপাশে অবস্থিত হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলসহ পরিবেশ।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেলেই অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Share