ফলোআপ- চাঁদপুরে ইয়াবা বাচ্চু আটক : জনমনে স্বস্তি

চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৫৫ পিচ ইয়াবা সহ ২৭ মাদক মামলার দাগী আসামী ম্যাট বাচ্চু ওরফে ইয়াবা বাচ্চুকে আটক করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

চাঁদপুর পুরাণবাজার মেরকাটিজ রোডের নুরু মিজির ছেলে মাদক মামলার দাগী আসামী ম্যাট বাচ্চু ওরফে ইয়াবা বাচ্চু জেল থেকে বেরিয়ে এসে বারবার ইয়াবা বিক্রি করে পুরানবাজারের যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

চাঁদপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মাদক মামলার আসামি হয়েও সে রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মেরকাটিজ রোডে ভাড়া বাসায় থেকে ইয়াবা বিক্রি করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। এলাকা থেকে তাকে সরানোর জন্য বহুবার এসপি অফিসে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। সে যে বাসায় ভাড়া থাকে সে বাসার মালিক চাঁদপুর বিদুৎ বিতরণ বিভাগের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী মেজবা উদ্দিন লিটন ওরফে মেজবা নিজেই মাদক ব্যবসায় অর্থ যোগান দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাকে বহুবার এ ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হলেও সে কারো কথা তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত তাকে এ বাসায় ভাড়া রেখে মাদক ব্যবসা চালানোর মদদ দিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

শুধু সে একা নয় তার পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকবার সে মাদক সহ আটক হওয়ার পর কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে পুনরায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলে। জেলাকে মাদকমুক্ত করতে চাঁদপুর পুলিশ প্রশাসন যেভাবে মাঠে নেমেছে সেখানে পুরাণবাজারের এই পরিবারটি দম্ভের সাথেই প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।

প্রসঙ্গত, মাদক নির্মূলে ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে পুলিশ সুপার সামছুনাহারের নির্দেশের চাঁদপুরের ডিবি পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে মাদকের দাগী আসামীদের মাদকসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করছে। এর ধারাবাহিকতায় ডিবি পুলিশের এস.আই ইসমাঈল খন্দকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামে মিজানুর রহমানের ভাড়াটিয়া সাদ্দাম হোসেনের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে দুই যুবতীর সাথে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় পুরাণবাজার মেরকাটিজ রোডের নুরু মিজির ছেলে ২৭ মাদক মামলার দাগী আসামী ম্যাট বাচ্চু ওরফে বাবা বাচ্চু (৪৫) কে ১৫৫পিচ ইয়াবা সহ ও তার সহযোগী হাজীগঞ্জের সাদ্দামকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ম্যাট বাচ্চু ওরফে বাবা বাচ্চু পুরানবাজার কোহিনুর হলের সামনে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী মেজবাহ উদ্দিন লিটনের টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজা বিক্রি করে আসছিল। ওই ঘর থেকে তাকে ডিবি পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশ ডজনখানেক বার ইয়াবাসহ আটক করে। সে হাপানিয়া তার সহযোগী সাদ্দামের কাছ থেকে ইয়াবা আনতে গেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ০৯:২০ অপরাহ্ন, ২২ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Share