ফলের রাজা আম। মৌসুমি এ ফলটি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ মেলা দায়। এরপরও আম নিয়ে ঠিক-ভুল ধারণাও রয়েছে হাজার। কেউ মনে করেন ডায়াবিটিসের রোগী আম খেতে পারে না,আবার কেউ মনে করেন বেশি আম খেলে ক্ষতিও হতে পারে।
তাই আসুন জেনে নেয়া যাক ঠিক কতটা আম খাওয়া উচিত। আর আমের মধ্যে কী কী দোষ-গুণ রয়েছে। আম নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
আমে ৫০ শতাংশেরও বেশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া যাবে ততই শরীরের জন্য মঙ্গল। তবে ডায়াবিটিস রোগী আম খেতে পারেন না- এ তথ্য ঠিক নয়। তবে দুপুরে বা রাতে ভরা পেটে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান, পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক আম খাওয়া যাবে।
একটি হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়ালে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম। তাই ওজন বুঝে ভোজন করাটাই ভালো।
আমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যানসার প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আমের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটিও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের জন্য আম অনেক উপকারী। এটি রোমকূপের গোড়া পরিষ্কার। ফলে নিয়মিত আম খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। এছাড়াও এই ফলটি চোখের জন্যও ভাল। আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও আমের মধ্যে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে। যা মানব শরীরে অ্যালকালাইন বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে। আর আমে থাকা অসংখ্যা এনজাইম হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতিটি আমেই কমবেশি প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে ভূমিকা রাখে।
বার্তা কক্ষ , ১২ জুলাই ২০২০