ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা গেইট সমুক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের স্কাউট, রোভার সদস্য ও শিক্ষার্থী সমাজের অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রোভার রেদোয়ান খাঁন, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ইউনিট লীডার জাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রোভার আব্দুল্লা আল আরিয়ান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যানজট নিরশনে কাজ করা শিক্ষার্থীদের নাস্তা ও খাবারের টাকা যে আত্মসাৎ করতে পারে তার দ্বারা যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়া সম্ভব৷ শিক্ষক রূপী এই দূর্নীতিবাজের হাতে আমাদের উপজেলা স্কাউটস নিরাপদ নয়। আমরা প্রথম থেকেই বলছি, তার বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে, তার তদন্ত করা হোক, যদি তার বিরুদ্ধে আনিতে অভিযোগ ভূল প্রমানিত হয় কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয় তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক প্রমানিত হলে তার লুট করা অর্থ ফেরত নিয়ে তাকে উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করার মাধ্যমে উপজেলা স্কাউটসকে কলঙ্ক মুক্ত করা হোক। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদের স্কাউট সদস্যদের মামলা আর গ্রেপতারের হুমকি দিয়ে লাভ নাই, আজকের এই মানববন্ধনের পর ১২ ঘন্টার মধ্যে যদি তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে আমরা কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। উপজেলা স্কাউটস সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, গত সপ্তাহের বুধবার আপনার কাছে দুর্নীতিবাজের বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করার পরও তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে। আপনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। আন্দোলনটা যখন অনিয়ম দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজের বিচার আদায় করার জন্য আমাদের কঠো হতে বাধ্য করবেন না। যদি বিশ্বস্থ কোন মহলের ধারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কমিটি ঘটন না করে থাকেন, তবে মনে রাখবেন অপসাশনের সেই দিন শেষ। তদন্ত কমিটি গঠন করুন, দোষী যেই হোক তাকে বিচারের আওতায় আনুন।
মানববন্ধনের পর স্কাউট ও রোভার সদস্যরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউটের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডলের কাছে অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব দ্রুতই বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের দুই ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণ কাজ করা স্কাউট সদস্যদের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও ভুয়া বিল ভাউচার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন রোভার ও স্কাউট সদস্যরা।
উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর থেকে গত কয়েক দিনে তার বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪