চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের সুবিদপুরে টিআর এর বরাদ্দকৃত কাজের কোন হদিস নেই। প্রকল্পের সভাপতি জানে না কত টাকার বাজেট, নাম মাত্র কাজ করে ছাত্রলীগ নেতার অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর সুবিদপুর পীরের বাড়ীর পূর্ব পাশে বক্স কালভাটের দুই পাশে কিছু মাটি পেলানো হয়। গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ি থেকে সর্দার বাড়ীর চলাচলরত ইউসুফ, মনির হোসেন ও ফাতেমা বেগম বলেন,কালভাটের দুই পাশে কিছু মাটি পেলেই কাজ শেষ, অথচ পুরো রাস্তায় হর্তে একাকার সেখানে মাটি বা রাভিশ কিছুই পালানো হয়নি। আমরা বৃষ্টিবেজা পথে কাদাঁর জন্য চলাচল করতে পারছিনা। বর্তমানে শুধু কালভাটের পাশে মাটি পেলেছে যা পূর্বের মাটির সাথে কয়েক উড়া পেলে চলে যায়। আর এ কাজটি করে সুবিদপুর গ্রামের ছাত্রলীগের নেতা মো.নাছির।
প্রকল্পের সভাপতি উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক পাটওয়ারী বলেন, শুনেছি আমাকে ৫০ হাজার টাকার টিআর প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে অথচ এলাকার ছাত্রলীগ নেতা নাছির আমার গত বছরের নতুন কালভাটের পাশে কয়েক উড়া মাটি পেলেই কাজ শেষ।
জানা গেছে সরকারের ত্রাণ ও পূর্নবাসন মন্ত্রনালয়ের অধিনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের টিআর প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দের কাজ পায় সুবিদপুর গ্রামের ছাত্রলীগের নেতা নাছির।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা নাছিরের সাথে কথা হলে তিনি উক্ত কাজের বর্ননার পাশাপাশি বলেন, অন্য পাশেও কিছু ইটের কণা ফেলেছি। আমরা দল করে তেমন কোন সুযোগ পাইনি, একটা কাজ পেয়েছি তার কাজ কিছুটা করেছি।
প্রকল্পের সভাপতি গ্রামের ইউপি সদস্য,তাকে বলেই কাজ শুরু করেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার বলেন, আমরা টিয়ার প্রকল্পের ৫০ হাজারের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকী টাকা কাজের ছবি দেখে দেওয়া হবে। অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,৬ জুলাই ২০২০