Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাট মাদ্রাসার শতভাগ পাসের ধারাবাহিক রেকর্ড সৃষ্টি
Munshir Hat Madrasah
মুন্সিরহাট আইএইচ আলিম মাদ্রাসা (ফাইল ছবি)

ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাট মাদ্রাসার শতভাগ পাসের ধারাবাহিক রেকর্ড সৃষ্টি

ফরিদগঞ্জের ধর্মীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান মুন্সিরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদ্রসা। শতভাগ পাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ফরিদগঞ্জের উত্তরাঞ্চলে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে এ মাদ্রাসাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৯ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। ইচলী থেকে রামগঞ্জ যাতায়াতের ওয়াপদা সড়কের পাশে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে মাদ্রাসাটি অবস্থিত।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, এক দশক ধরে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনি,জেডিসি,দাখিল ও আলিমে ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির ক’বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আলিম পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ মাদ্রাসা থেকে আলিমে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাসের রেকর্ড রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের প্রকাশিত ফলাফলেও ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সফলতার সহিত উর্ত্তীর্ণ হয়।

২০১২ সালের আলিম পরীক্ষায় ৪৭ জন, ২০১৩ সালে ৫৭ জন, ২০১৪ সালে ৪৬ জন,২০১৫ সালে ৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ শিক্ষার্থীই পাস করে ।
দাখিলের ফলাফলে দেখা যায়, ২০১২ সালের দাখিল পরীক্ষায় ৪৭ জন, ২০১৩ সালে ৫০ জন, ২০১৪ সালে ৬০ জন,২০১৫ সালে ৫৩ জন,২০১৬ সালে ৭২ জন ও ২০১৭ সালে ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এ ৬ বছরে ৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে।

অনুরূপ জেডিসি’তে ২০১২ সালে ৮৯ জন, ২০১৩ সালে ১’শ ৭ জন ,২০১৪ সালে ৭৪ জন,২০১৫ সালে ১’শ জন ও ২০১৬ সালে ১’শ ৭ জন অংশগ্রহণ করে এ ৫ বছরে ১১ জন অকৃতকার্য হয়েছে।

এদিকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাদ্রাসার শিক্ষর্থীরা সরকারি বিভিন্ন গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে আসছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৪ জন, ২০১২ সালে ১ জন, ২০১৩ সাালে ১০ জন, ২০১৪ সালে ৬ জন, ২০১৫ সালে ৫ জন ও ২০১৬ সালে ৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে।

প্রসঙ্গত,১৯৮৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন এলাকার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ¦ মো.হাবীবুর রহমান। প্রতিষ্ঠানের জন্যে তিনি ১’শ ২৯ শতক জমি দান করেন ।

প্রতিষ্ঠার দু’ বছর পর ১৯৮৭ সালে মাদ্রাসাটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ ও এমপিওভুক্ত হয়। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি আরেক দাপ এগিয়ে আলিমের স্বীকৃতি পায় এবং ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটিতে ফাজিল শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। মাদ্রাসার ৩ তলা ও ১তলা বিশিষ্ট ১টি ভবন রয়েছে। ৩ তলা ভবনটিতে পাঠদান ও ১তলা ভবনটিতে ছাত্রদের লিল্লাহ বডিং হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বর্তমানে মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠাতার ছেলে আলহাজ¦ মো.মাহবুবুর রহমান টিটু মুন্সি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসাবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন মো.মোরশেদ আলম। মাদ্রাসায় ১৯ জন শিক্ষক কর্মরত। তবে শরীর চর্চা বিষয়ে একজন, ইবি শাখায় একজন ও একজন সহকারী মৌলভীর পদ শূন্য রয়েছে।

অধ্যক্ষ মো.মোরশেদ আলম বলেন,‘এ মাদ্রাসার আশ-পাশে একাধিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে। পাশ^বর্তী প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা করছে ।’

তিনি আরো বলেন,‘ চুড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষায় অনুর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করার সুযোগ দেয়া হয় না। পরীক্ষার পূর্বে ছেলেদের রাতে ও মেয়েদের সকালে অতিরিক্ত পাঠ গ্রহণে মাদ্রাসায় আসতে হয়। রাতের বেলায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে কিনা তা’তদারকির জন্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকরা পরিদর্শন করেন।’

এক প্রশ্নে তিনি বলেন,‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আধুনিক পাঠদানের জন্যে একটি কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণ করা প্রয়োজন। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব’নির্মাণের দাবি জানান।’

প্রতিবেদক :আতাউর রহমান সোহাগ
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৬ :০০ পিএম,৯ আগস্ট ২০১৭,বুধবার
এজি/ডিএইচ

Leave a Reply