ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ, আহত ১৩

কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যকার বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ৮ টা থেকে একটানা ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। প্রথম পর্যায় সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির ছিলো চোখে পড়ার মতো ছিল।

এদিকে নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ করে বিএনপি প্রার্থী ইমাম হোসেন নির্বাচন বর্জন করেন ভোট শুরুর দুই ঘন্টা পরই।  

বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। প্রশাসন আমাকে যে আশ্বাস দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কিন্তু তার কোন কিছুই হয়নি। নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স দেয়া হয়েছে কিন্তু সেটি আমাদের ভোটারদের নিরাপত্তা জন্য নয় তা দেয়া হয়েছে ভোট কাটার জন্য।

এদিকে ফরিদগঞ্জের কাছিয়ারা মহিলা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এ সময় কেন্দ্রের পাশে পরপর ৪ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর আহত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলী হায়দার পাঠানকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

ফরিদগঞ্জের কাছিয়ারা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাডিং অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, এ কেন্দ্রে ১০ জন কাউন্সিল প্রার্থী। মূলত তাদের কারনেই কেন্দ্রে সহিংসতা ঘটেছে। ভয়ে ভোটার সংখ্যাও কমেছে।

অন্যদিকে ৫নং ওয়ার্ডের মন্তি খাঁর মসজিদের সামনের অস্থায়ী কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

এছাড়া ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত ৩জন আহত হয়েছে। 

এদিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কোন বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে এসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিচ্ছে দেখে উচ্ছ্বাসিত। আশা করছি পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে। 

প্রতিবেদকঃশিমুল হাছান,১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share