ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আগাম প্রচারে সরব প্রার্থীরা

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের আগাম প্রচারে সরব প্রার্থীরা। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিভক্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৃষ্টি এখন পৌর নির্বাচনের দিকে। এছাড়া, পৌর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামতে আগ্রহী বহু লোক।

এদিকে, পৌর নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি থাকতেই প্রাথমিক প্রচার ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারীতে। এর আগেই এখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। গত এক বছর আগে থেকেই মেয়র প্রার্থীদের সরব প্রচার চলছে।

পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ সহ নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন অন্তত দেড় ডজন প্রার্থী।

পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থীদের আগ্রহ সবচাইতে বেশি দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে এ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দলের উর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে, বর্তমান পৌর পরিষদের মেয়াদ শেষের দিকে চলে আসায় পৌরসভার ভোটাররা মেয়র ও কাউন্সিলরদের সফলতা ও ব্যর্থতার হিসাব কষতে শুরু করেছেন। নতুন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বীতার জন্য কারা আসছেন সে বিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখছেন ভোটাররা।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহফুজুল হক জয় লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বগ্রহণের পর ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সভা। সে হিসাবে আর মাত্র ৭ মাস পরেই পৌরসভার বর্তমান পরিষদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে তা এখনো অনিশ্চিত। করোনার কারনে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া নির্বাচন নিয়ে এখনও কোন তারিখ ঘোষনা করা হয়নি।

এদিকে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পরামর্শে করোনার মধ্যেই সম্প্রতি বগুড়া ও যশোরে দুটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে, পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের ৩ জন সদস্যের মৃত্যু জনিত কারণে শূণ্য হওয়া আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষনা করেনি নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া দেশের একাধিক পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হলেও সেই সব এলাকার নির্বাচন নিয়ে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত মার্চ মাসে এক নির্দেশনায় দেশে সকল নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুতই নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হবে এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ শহরের উন্নয়নের জন্য ২০০৫ সালের ১ সেপ্টম্বর প্রতিষ্ঠা করা হয় ফরিদগঞ্জ পৌরসভা।

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ‘গ’ শেণি দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে এটি ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ১৯.৭৫ বর্গ কি.মি। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পৌরসভার মোট জনসংখ্যা ৩৫ হাজার ৯০ জন।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,২৫ জুলাই ২০২০

Share