ফরিদগঞ্জ জিএফএল গ্রুফের প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের তালা

Ahsan Habib:

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানী ফরিদগঞ্জের জিএফএল গ্রুপের মালিকানাধিন হসপিটাল সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে রয়েছে বলে গ্রাহকদের পাওনা মিটিয়ে দিতে না পারায় গ্রাহকরা তালা লাগিয়েছেন।

প্রায় কয়েক শ গ্রাহক একত্রে জড়ো হয়ে জিএফএল গ্রুফ এর পরিচালনাধীন যথাক্রমে জিএফএল সুজ গ্যালারী, ফরিদগঞ্জ মেডিকেল সেন্টার(প্রাঃ) হাসপাতাল ও  জিএফএল এর মালিকানাধীন পুরাতন ৪ তলা ভবনের গেটে তালা মেরে দেয়। পরে সেখান থেকে ৫০ জন গ্রাহক স্বাক্ষরিত জিএফএল গ্রুফ গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ করে একটি আবেদনপত্র  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের কাছে জমা দেন। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ফরিদগঞ্জ জনকল্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি( জিএফএল) এর বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ার
অভিযোগ ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রাহক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, তাদেরকে অধিক লাভের আশায় দেখিয়ে জিএফএল গ্রুফ বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখায়। পরে তারা তাদেরকে বিশ্বাস করে সেখানে টাকা জমা রাখেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে জিএফএল কর্তৃপক্ষ
মূল টাকা কিংবা লভ্যাংশ কোন কিছুই দিচ্ছিল না। টাকার জন্য সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। তাই বাধ্য
হয়েই আমানতের টাকা আদায়ে জিএফএল পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে তারা। গ্রাহকরা আরো বলেন, জিএফএল কর্তৃপক্ষ
টাকা ফেরত দিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে যে কোন সময় তারা বড় ধরনের অন্দোলনের  কর্মসূচি ঘোষনা করবে । অপরদিকে উপজেলার গাজীপুর
বাজারে অবস্থিত জিএফএল গ্রুফের একটি শাখায় কর্মচারীদের বাইরের গেটের মূল ফটকে তালা মেরে ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখে গ্রাহকরা।

পরে সমিতির পরিচালক আল কায়েদ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খোলার ব্যবস্থা করে বলে জানায় ওই এলাকার ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। এসর্ম্পকে যোগাযোগ করার জন্য জিএফএল গ্রুফ-এর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। মূলত তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার
গুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এসর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন চাঁদপুর টাইমসকে জানান জিএফএল গ্রুপের ১৫/২০ জন গ্রাহক আমার কাছে একটি আবেদন করেছে। আমি ওই আবেদন পত্র উপজেলা সমবায়
অফিসে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share