চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস যাবৎ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত অভযোগের ভিত্তিতে তন্দ শুরু হয়েছে।
দুদক ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক এর নির্দেশক্রমে গত ২১ নভেম্বর তারিখে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াসউদ্দিন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তে গিয়েছেন।
প্রচারিত সংবাদে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মো. রফিকুল আমিন’র চাকরিকালিন সময়ে একই শিক্ষা সনদ কখনো ২য় শ্রেণি আবার বা কখনো প্রথম শ্রেণি দেখিয়েছেণ। এছাড়া শিক্ষা আর্থিক অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর লিখিত তদন্ত দাবি করেন।
তদন্তের ভিত্তিতে গত ১৩-১১-২০১৯ খ্রি: তারিখে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসের সাক্ষরিত নোটিশ মো. রফিকুল’র নিকট লিখিত ভাবে প্রেরন করা হয়।
ওই পত্রে মো. রফিকুল আমিনের কাছ থেকে তলব করা হয়। তা নিম্মরুপ-
(১) সনদ জালিয়াতি এবং জেলা ও উপজেলা-শিক্ষা অফিসকে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান। (২) সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে মিথ্যাচার! প্রধান শিক্ষক পদে তার নিয়োগ অবৈধ। (৩) পেশাগত পরিচয় গোপন করে একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটিরর সভাপতি হওয়া। (৪) ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬-২০১৭ খ্রি: উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেন তিনি। (৫) মাউশি পরিচালকের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলের শিক্ষকদের বেতনের স্কেল অংশ প্রদান না করা এবং গত ২০১৩ সাল থেকে অদ্যবধি স্কুলের অভ্যন্তরিন কোন আয়ন-ব্যয়নের হিসেবে না হওয়ায় লাখ-লাখ টাকা আতœসাতের শঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য উপরোক্ত ৫ টি অভিযোগ লিখিত ভাবে গত ২১ নভেম্বর রফিকুল আমিন’র নিকট তদন্ত কর্মকর্তাদের সম্মুখে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আলোচনা হলেও তিনি কোন গ্রহণযোগ্য প্রমান উপস্থাপন না করে মৌখিকভাবে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আরো কিছুদিন সময়ের আবেদন করেন।
তবে কতদিন সময় লাগতে পারে তিনি নির্দিষ্ট করে জানান নি।
এ সংক্রান্ত আরো পড়ুন- ৯ মাসের বেতন না পেয়ে ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলটে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা
প্রতিবেদক : শিমুল হাছান, ২৩ নভেম্বর ২০১৯