ঐতিহ্যবাহী ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র প্রদানের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের সময় ও বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়াও রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার এসএসসি ও ভোকেশনালসহ ১ শ’ ৮৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রবেশপত্র বাবদ ৩ হাজার টাকা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়। এই ৩ হাজার টাকার মধ্যে দুই মাসের কোচিং ফি ২৪’শ টাকা, কেন্দ্র ফি ৫’শ টাকা ও মিলাদ বাবদ ১’শ টাকা দিতে হচ্ছে। তবে অ অর্থের রশিদও প্রদান করা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন পরীক্ষার্থী জানান, ফরম ফিলাপের সময় আমাদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত সাড়ে ১৫’শ টাকার স্থলে ২ হাজার ২’শ থেকে ২’ হাজার ৭’শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এই ফির সাথে কেন্দ্র ফিও ৫ শ’ টাকা ধরা হয়েছিলো।
তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পূর্বে হয়রানি হওয়ার ভয়ে পরীক্ষার্থীরা এ নিয়ে নাম প্রকাশ করছে না।
বিদ্যালয়ে প্রাপ্ত অর্থ আদায়ের রশিদে (চাঁদপুর টাইমসের কাছে সংগৃহীত) দেখা যায়, বিবিধসহ ১৭টি খাতে মিলাদের টাকাসহ ১’হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এদিকে এই টাকা আদায়ের পর ও পরীক্ষার সময় আবারো মিলাদের নামে টাকা আদায়ের বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে স্কুল কতৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে উক্ত বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অতিরিক্ত অর্থ আদায় সর্ম্পকে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. কামাল হোসেন মিয়াজী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, অভিভাবকরা অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে একাধিক অভিযোগ করেছে। কিন্তু এনিয়ে অভিভাবকদের আমরা সঠিক কোন জবাব দিতে পারি না। আগামী শুক্রবার বৈঠকে বিদ্যালয়ের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া এমপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের হিসাব প্রধান শিক্ষকের কাছে চাওয়া হবে।
একই বক্তব্য দিয়েছেন কমিটির আরেক সদস্য মোশারফ হোসেন নান্নু।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রবেশপত্র বাবদ কোনো ফি নেই, তবে কেন্দ্র ফি ৫শ’ আর মিলাদের জন্যে ১শ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী মিলাদ বাবদ ফি দিতে রাজি হননি, তাই চিন্তা করেছি আগামি বছর থেকে মিলাদও আর করবো না।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০৩ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার
ডিএইচ