চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হাত-পা বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মনোয়ার হোসেন মনা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব বড়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীর স্ত্রীসহ তিন সন্তানকে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল রাতে হইচই শুনে তারা মনার বাড়িতে যান। গিয়ে তারা দেখেন, বৃদ্ধ মনার হাত-পা বাঁধা। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান। পরে তারা বসতঘরে ঢুকে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন।
আটকরা হলেন- মনার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), ছেলে জুয়েল (২৩), দুই মেয়ে প্রিয়া (২৭) ও রিয়া (২০)কে আটক করা হয়।
ঘটনার শিকার মনা জানান, তাকে না জানিয়ে তার ৭০ হাজার টাকা দামের অটোরিকশা কম দামে বিক্রি করে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে তার পরিবার চলে। আর নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী তাসলিমা বেগম, ছেলে জুয়েল, দুই মেয়ে প্রিয়া ও রিয়া হত্যার উদ্দেশে তার ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশে এক পর্যায়ে আমার দুই মেয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে। আশপাশের লোকজন না এলে হয়ত মৃত্যু হতো। রুবেল ও ফয়সাল নামে আমার আরো দুই ছেলে সৌদি আরব থাকে। তারা সংসার চালাতে প্রবাস থেকে টাকা পাঠিয়ে এই অটোরিকশা ক্রয় করে দিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এই তিনজন থানা হাজতে রয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, সামান্য একটি অটোরিকশা বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে এমন জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। যা ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তানেরা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি/ ১০ আগস্ট ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur