ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মো. এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগম (৪৫) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পুর্ব সাহাপুর গ্রামের মো. আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মো. সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে হত্যার শিকার হান্নানের বাড়ীতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)।

হান্নানকে ঘটনাস্থল থেকে বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।

এই ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামীসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামী পলাতক ছিলেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ৩ মার্চ ২০২২

Share