ফরিদগঞ্জে সড়কের পাশে পঁচা চামড়ার স্তুপ, দুর্গন্ধে দুর্ভোগ

ফরিদগঞ্জ-খাজুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের রুপসা বাজারে কোরবানির পশুর চামড়া স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এসব চামড়া পঁচে যাওয়ায় রূপসা বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং জনসাধারনরে চলাচলে দুর্ভোগের কারণ হয়ে ওঠেছে।
ঈদের দিন ১০ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ২৪ জুলাই রবিবার পর্যন্ত এলাকার কোরবানির পশুর চামড়াগুলো জড়ো করে স্তুপাকারে এখানে রেখে দেওয়া হয়েছে। চামড়ার দুর্গন্ধে পথচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমির হোসেন মুন্সি ওরফ নফর মুন্সিসহ কসাই আক্তার হোসেন প্রতি বছরই কোরবানির পশুর চামড়া কিনে এ ব্যস্ততম সড়কের পাশে স্তুপাকারে রেখে দেন। সেগুলো পঁচে প্রক্রিয়াজাত করার উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এখানেই স্তুপাকারে পড়ে থাকে। ফলে চামড়ার দুর্গন্ধে পথচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহান। দুর্গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে আশপাশের লোকজন নানা রোগব্যাধীতে আক্রান্ত হয়। পঁচা চামড়া থেকে উঠা মাছিগুলো আশেপাশে বসবাসরত বাড়িঘরে প্রবেশ করে খাবারের পাত্রে বসে রোগজীবানু ছড়াচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ীর যাত্রীদেরকেও নাকে মুখে ঠেঁসে রুমাল ধরে এলাকাটি পার হতে হয়।

বাজার ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, প্রকাশ্যে সড়কের পাশে এভাবে চামড়া ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ছাত্র-ছাত্রীরা আরোও জানান, আমরা প্রতিনিয়ত স্কুল, মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় নাক, মুখ ডেকে অনেক কষ্টে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে চামড়া ব্যবসায়ী আমির হোসেন মুন্সি ওরফে নফর মুন্সি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঠিকাদারি করেছি, কাজ না থাকায় চামড়ার ব্যবসা করছি, দুরে কোথায়ও চামড়া রাখার ব্যবস্থা না থাকায় এখানে রেখেছি। সহসাই সরিয়ে পেলার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে বাজার ইজাড়াদার নজরুল ইসলাম সুমন জানান, আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকায় বাজারে জেতে পারি নাই। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চামড়ার পচাঁ দূর্গন্ধে চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। তিনি চামড়া মজুদ কারিকে দ্রুত বাজার থেকে চামড়া সরিয়ে নিতে বলবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছার কাছে বক্তব্য জানতে একদিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, চামড়া যেহেতু জাতিয় সম্পদ, সেহেতু এ বিষয়টি যেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলবো।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৪ জুলাই ২০২২

Share