চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সেলিনা বেগমের (৩০) গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়ে গুরুতর জখম করার অপরাধে স্বামী মো.আজাদ হোসেন (৩৫) কে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এর বিচারক (জেলা জজ) আবদুল মান্নান এ রায় দেন।
নির্যাতনের শিকার সেলিনা বেগম পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সাউথেরখিল গ্রামের শামছুল হক ভূঁইয়ার কন্যা। কারাদন্ড প্রাপ্ত আজাদ হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, ২০০৯ সালের ২৭ মে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে গুপ্টি গ্রামে আজাদের বসতঘরে যৌতুকের দাবি নিয়ে সেলিনা ও তার স্বামীর সাথে বাক বিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে আজাদ ঘরে থাকা গরম পানি তার স্ত্রী সেলিনার গায়ে ঢেলে দেয়। এতে করে তার স্ত্রীর শরীরিরের বিভিন্ন অংশ জলসে যায়। সেলিনার আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা জন্যে পাঠান ।
এ ঘটনায় ২৮ মে সেলিনার বড় বোন স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আজাদ হোসেনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং-২০। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর রহমান ঘটনাটির তদন্ত শেষে একই সালের ২৬ আগস্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান,দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী পলাতক ছিলেন। সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামীর অনপুস্থিতিতে উল্লেখিত সাজা প্রদান করেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক