ফরিদগঞ্জে মেয়রের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নিযার্তনের দায়ে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের দায়ের করা আদালতে মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌরসভার মেয়র মো:মাহফুজুল হক।
২২ নভেম্বর রোববার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যখনই তার দলীয় বা নিবার্চন সামনে আসে, ঠিক তখনই একটি চক্র তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। সেই অনুযায়ী আসন্ন পৌরসভা নিবার্চনকে সামনে রেখে তিনি যখন নিবার্চন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনি তার স্ত্রীকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে প্রতিপক্ষরা ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছেন। মামলার পুরো বিবরণ পড়লে যে কেউ নিশ্চিত হবে এটি সাজানো বলে দাবী করেন মেয়র মাহফুজুল হক।
তিনি আরো জানান, প্রেম করে বিয়ে করলেও তিনি কখনো সুখী ছিলেন না। তার স্ত্রীর অর্থ লোভ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে অশোভন আচরণের কারণে তিনি সর্বদা ভীত ছিলেন। প্রায়শই তিনি তার স্ত্রীর মারমুখি আচরণের শিকার হতেন।
নারী নির্যাতন নয়, তিনি পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবী করেন। এককথায় বলতে হয় তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রায়ই সে তার তিন সন্তানকে ফেলে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ছোট ছোট তিনটি সন্তানকে পালন করতে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হন।
তারপরও তার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া ফিরে আসতে চাইলে তিনি সন্তানদের দিকে তাকিয়ে বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান.২২ নভেম্বর ২০২০