বাংলাদেশের সুনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী ব্যাবসায়ীক গ্রুপ সোনালী আঁশ গ্রুপের চাঁদপুরস্থ আঞ্চলিক অফিস ও গোডাউনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ২২ সেপ্টেম্বর রোববার আনুমানিক রাত ৩ টায় ফরিদগঞ্জ ৭নং পাইকপাড়া কামালপুর গ্রামে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আগুণ দেখতে পেয়ে নেভানোর উদ্যোগ নেওয়ার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা হতাহত ঘটনা ঘটেনি। রক্ষা পেয়েছে আশপাশের অসংখ্য ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠান, বসতঘর ও মানুষের প্রাণ।
জানা যায়, বাংলাদেশের সুনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী ব্যাবসায়ীক গ্রুপ সোনালী আঁশ গ্রুপের মালিক চাঁদপুরের সন্তান হওয়ায় নিজেদের জন্মভূমি ফরিদগঞ্জে ২টি আঞ্চলিক অফিস ও গোডাউন স্থাপন করেন। যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশে রপ্তানি করা সোনালী আঁশ গ্রুপ কোম্পানির বাংলাদেশী জুতা ও ব্যাগের একাংশ প্রস্তুত করা হতো। আর অবসর সময়ে এই কাজের সুযোগ পেয়ে অত্র এলাকার কাজে হাজার নারী-পুরুষ অর্থিকভাবে লাভবান হতো। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে কে বা কারা অসৎ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সোনালী আঁশ গ্রুপের ফরিদগঞ্জ কামালপুর গ্রামের আঞ্চলিক অফিস ও গোডাউনে আগুণ ধরিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিভানো হয়।
স্থানীয় জহির জমাদার, মনির হোসেন, নজরুল কন্ট্রাক্টরসহ এলাবাবাসী জানায়, গভীর রাতে কে বা কারা আগুণ লাগিয়েছে সেটি জানা জায়নি। তবে ওই সময়ে এলাকার কয়েকজন লোক পাশ্ববর্তী পুকুরে মাছ ধরার সময় আগুণ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা বুদ্ধি করে পুকুর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুণ না নিভালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। সোনালী আঁশ গ্রুপের মালিকসহ কোম্পনীর সকলকে আমরা অনেক সম্মান করি। তারা এলাকায় অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এখানে আঞ্চলিক অফিস করেছেন। তারা সব সময় এলাকার গরীব মানুষদের পাশে থাকেন।
সোনালী আঁশ গ্রুপের জুতার গোডাউন ও আঞ্চলিক অফিসের ম্যানাজার মাসুদুজ্জামান পাটওয়ারী (মামুন) বলেন, অফিসের পাশেই আমার বাসতবাড়ি। শনিবার দিনগত রাতে আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত অনুমানিক ৩ টার সময় প্রতিবেশী বিল্লাল, সোহাগসহ আরো অনেকে পুকুরে মাছ ধরার সময় আগুণ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে উঠে এবং পুকুর থেকে পানি দিয়ে আগুণ নেভাতে থাকে। এই ঘটনার তিনি উপযুক্ত প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পাই এলাকাবাসী আগুণ নেভানোর চেষ্টা করছে। এসময় সেখানে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া আগুণ লাগনো মশালের মত কিছু একটা পাওয়া যায়। এছাড়াও অফিসে কেরোসিনের আলামত পাওয়া যায়। ধারণা করছি যে দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ঢেলে এই লাঠির সাহায্যে অফিসের ভেতরে আগুণ দেয়ার চেষ্টা করেছে। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী দেখে ফেলায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। তা না হলে অফিসের কম্পিউটার, মালামাল, স্যাম্পল, কাগজপত্র এবং আমার বাসতবাড়ি ও পাশ্ববর্তী শাহজান মার্কেটসহ অনেক বাড়িঘর ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যেত। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪