ফরিদগঞ্জে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত ৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জমির বিরোধে সুপারি ও কলার ছরা পারাকে কেন্দ্র করে আপন ভাই ও ভাতিজাদের অতর্কিত হামলায় ৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করে গুরতর আহত করার খবর পাওয়ায় গেছে। এদের মধ্যে সোহেল সওদার (৩০) নামের এক যুবকের বুকে লোহার শাবাল দিয়ে আঘাত করলে তার অবস্থা আশংজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ৪ জন গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং চরদুখিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামের নুরু সওদাগর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, নুরু মিয়া সওদাগরের পুত্র মুক্তার আহমেদ সওদাগর (৫৫), তার স্ত্রী নারগিস বেগম (৩৮), সৈয়দ আহমেদ সওদাগরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৫০), ছেলে সোহেল সওদাগর (৩০), সিরাজ ভূঁইয়ার ছেলে আল-আমিন (২৫)।

আহত মুক্তার আহমেদ সওদাগর ও তার পরিবারের অন্যান্যরা জানান, তার আপন বড় ভাই মনির সওদাগর বিভিন্ন সময়ে তাদের পিতাকে সহজ সরল পেয়ে বিভিন্ন সময়ে বাড়ির বেশ কিছু সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে নিয়ে যান। এসব বিষয় নিয়ে কয়েক বছর ধরে তাদের পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিলো। এমনকি তাদের এই বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়াতে থাকেন। আর এসব বিরোধের মিমাংসার কথা চিন্তা করে তাদের বৃদ্ধ পিতা নুরু মিয়া সওদাগর ২০১৭ সালে তাদের তিন ভাইকে ২০ শতাংশ করে সম্পত্তি লিখে দেন। কিন্তু ভাগ ভাটোয়ারার পরেও মনির সওদাগর তাদের জমিতে ভাগ বসাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ প্রায় সময় মনির সওদাগর তাদের ভাগের সম্পত্তিতে থাকা বিভিন্ন ফল, ফলাদি, গাছ গাছালি কেটে নিয়ে যান। এ প্রায়ই তাদের ঝগড়া ঝাটি হতো। ঘটনার ১ দিন আগে গত বৃহস্পতিবার মনির সওদাগর তার ছোট ভাই মুক্তার আহমেদের সম্পত্তিতে থাকা সুপারি গাছ থেকে সুপারি এবং কলার ছরা কেটে নিয়ে যায়। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ওইদিন মনির সওদাগর তার ছোট ভাই মুক্তারকে ব্যাপক মারধর করেন। তার মারধরে মুক্তার সওদাগর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

তারা আরো জানান, ওই ঘটনার পর শুক্রবার দিন মনির সওদাগর তার ছেলে মেয়েদেরকে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর শনিবার সকালে মনির সওদাগর তার ছেলে কামাল সওদাগর, শাহাদাত, রাকিব, রাজু, মেয়ে বিউটি ও স্ত্রীর সালেহা বেগম সহ সকলে একত্রিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় মনিরের ছেলে কামাল লোহার শাবাল (খন্তি) দিয়ে সৈয়দ আহমেদের ছেলে সোহল সওদাগরের বুকে আঘাত করেন। এতে সোহেল রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।

একই সাথে অন্যান্য আহতরা মাথায়, হাতে, পায়ে, কপালসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপুপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ও স্বজনরা মিলে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে সোহেল সদাগরের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় প্রেরণ করেন।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share