Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে সালিশি বৈঠকে হামলা, আহত ৪
Faridganj-ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে সালিশি বৈঠকে হামলা, আহত ৪

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালিশি বৈঠক চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় বাদশা মিয়া (৭৫), আলী আশ্বাদ প্রকাশ আশ্রাফ (৭০), পেয়ারা বেগম (৬৫) ও সুজন (৪০) আহত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সামনে সালিশ চলাকালে সালিশের উপস্থিতি এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের জমাদার বাড়ির বাদশা মিয়া ও আলী আশ্বাদ প্রকাশ আশ্রাফ গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক ডাকেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমাম হোসেন বাবুল ও সাবেক ইউপি সদস্য মিলন তপদার এবং এলাকার গণ্যমান্যরা। যথা সালিশি বৈঠক শুরু হয়। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষ একই বাড়ির খোরশেদ আলম (৬০), ওয়াসিম জমাদার (৩২), আনোয়ার জমাদার (২৫), রাশেদ জমাদার (২৮)সহ কয়েকজন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে বাদশা মিয়া গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাদশা মিয়া গংদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয়রা জানায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠক খোরশেদ আলম গংরা বাদশা মিয়া গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে তারা আহত হাসপাতালে ভর্তি হয়।

তারা আরও জানান, ওয়াসিম জমাদার, আনোয়ার জমাদার, রাশেদ জমাদার কারনে অকারনে মানুষকে মারধর এবং মাদকসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে।

এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম গংদের বক্তব্য জানার জন্য তাদের বাড়িতে গেলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বাদশা মিয়া ও আলী আশ্বাদ প্রকাশ আশ্রাফ জানান, খোরশেদ আলম গংদের সাথে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও তারা মানে নাই। পরে তারা বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বর্তমান ও সাবেক মেম্বার এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি সালিশি বৈঠকে বসে। একপর্যায়ে সালিশের সামনেই খোরশেদ আলম গংরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং আমাদের গুরুতর আহত করে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য জানান, খোরশেদ আলম গংরা আমার সামনেই বাদশা মিয়া গংদের উপর হামলা চালায়। আমি বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে আমার শরীরেও লাঠির আঘাত লাগে।

সালিশি বৈঠকে হামলা বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৪ অক্টোবর ২০২৩