ফরিদগঞ্জে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা-হয়রানিমূলক মামলা প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ এম.এ হান্নান । কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবন্থা গ্রহণের ঘোষণাও দেন তিনি।

রোববার (১ সেপ্টম্বার) দুপুরে উপেজলা কমিটি আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে। অন্ষ্ঠুানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ব্যবসায়ী এম.এ. হান্নান।

বিএনপি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মো. ইউনুছ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের বিভিন্না স্তরের নেতাকর্মীগণ বক্তব্য রাখেন। প্রায় শস্রাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক সমাবেশে উপস্থিত হন। প্রধান অতিথি এম. এ. হান্নান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি, এক ক্রান্তিলগ্নে এ দেশের নেতৃত্বের হাল ধরেছেন। তার সময়কালে দেশের প্রভূত উন্নয়নের সূচনা হয়েছে। যার সুফল আমরা আজও পাচ্ছি। তিনি বলেন, বিদেশে শ্রমিকের কর্ম সংস্থানের রপ্তানীর সশুভ সূচনা তার হাত ধরেই হয়েছে। যার নুফল আজ বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে। তিনি জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত, দলের চেয়ারম্যান বেগম খালোদ জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

সমাবেশ শেষে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, ফরিদগঞ্জে ৫ই আগস্ট থানা আক্রমনের সময় শাহাদাৎ নামের যুবকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে। ওই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের কেউ কেউ মামলা বাণিজ্যে নেমেছে। তারা ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা নিয়ে ঘুরছে। তিনি বলেন, ঘটনার সময় ও তার আগে পরে আওয়ামী লীগের কোনো লোক অত্র এলাকায় ছিলো না। আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক হয়ে কারও নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাণিজ্য বরদাস্ত করবো না। আমি ছাই বিএনপির লোকজন যেন আওয়ামী লীগের মতো মিথ্যা মামলা না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বার বারে বলেছেন তারেক রহমান। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে আমাদের কয়েকজন নেতা চাঁদাবাজিতে নেমেছেন। তিনি কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে তিন জনের নাম উল্লেখ করার পর বিএনপির কয়েকজন চিৎকার করে বলেন, ভাংচুর ও চাঁদাবাজিতে আরও কয়েকজন আছে। তাদের নামও বলতে হবে।

ওই সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদসহ অন্তত ২০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান দুলাল ও পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত গাজীর উপস্থাপনায় অন্যঅন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মো. মঞ্জিল হোসেন, ডা. আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর খসরু মোল্লা, আ: খালেক পাটওয়ারী, আব্দুর রহমান, মাসুদ হোসেন, মহসীন মোল্লা, আবুল হাসনাত, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক ফারুক হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরিফ পাটওয়ারী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুপ চৌধুরী শাওন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শিবলু প্রমুখ। এছাড়া, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share