রাত পোহালেই ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহন। অবসান হবে প্রার্থীদের ২সপ্তাহের বিরামহীন প্রচার-প্রাচরণার।
নির্বাচনে ৭, ৮, ৯ ও সংরক্ষিত-৩ নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদের প্রতিটিতে লড়াই হবে দ্বি-মুখী। সংরক্ষিত ওয়ার্ডটি বাদে বাকি তিনটি ওয়ার্ডেই সদস্য পদে আ’লীগের প্রতিদ্বন্ধীতা হবে আ’লীগের সাথে। জেলা পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
নিবার্চনে দু’জন ছাড়া বাকি সবাই আ’লীগ সমর্থক প্রার্থী হলেও উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিকভাবে কাউকে সমর্থন দেয়নি। তবে আ’লীগের সিনিয়র নেতারা বিছিন্নভাবে সংবাদ মাধ্যমে দল সমর্থিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
এক্ষেত্রে ক’জন প্রার্থী ও ভোটারদের অভিমত এসব অনানুষ্ঠানিক সমর্থন ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলবে না।
৭নং ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হচ্ছেন মো. মশিউর রহমান মিটু(তালা), মো. মাহাবুবুর রহমান টিটু মুন্সী(বৈদ্যুতিক পাখা), মো. নজরুল ইসলাম পাটওয়ারী(অটোরিক্সা), এমরান হোসেন(হাতি) ও সুলতান আহম্মেদ রিপন (টিউবওয়েল)। ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত অনুসারে এই ওয়ার্ডে সদস্য পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিশিষ্ট আ’লীগ নেতা মরহুম সিরাজুল হক বিএড এর ছেলে ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান মিটু (তালা) সাথে উপজেলা আ’লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান টিটু মুন্সী (বৈদ্যুৎতিক পাখা)।
মশিউর রহমান মিটু নিজের ক্লিন ইমেজ ও তার মরহুম পিতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ায়ের উপর ভিত্তি করে ভোটারদের সাথে গণসংযোগ করেছেন। অপরদিকে মো. মাহাবুবুর রহমান টিটু (মুন্সী) পারিবারিক ও রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন।
৮নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়। এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। প্রার্থীরা হচ্ছেন মো. সাইফুল ইসলাম রিপন(তালা), মো. নাছির উদ্দিন হাজী(অটোরিক্সা), তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু(টিউবওয়েল) ও মোতাহার হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা)। এই ওয়ার্ডে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বিমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভোটারদের মতামত অনুসারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের জ্যাঠাতো ভাই পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম রিপন(তালা) সাথে তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু(টিউবওয়েল) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য গত ক’দিন পূর্বে অনুষ্ঠিত ১১ নং ইউনিয়নের নির্বাচনে তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মাত্র সাড়ে ১৬’শ ভোট পেয়েছেন। স্থানীয় সাংসদের সমর্থন বাচ্চুর পক্ষে রয়েছে।
অপরদিকে সাইফুল ইসলাম রিপন নির্বাচনের শুরু থেকেই মাঠে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি আশাবাদী নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করতে সক্ষম হবেন। তবে এই ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক ভোটাররাই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধাকরা হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কোন ফলাফল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৯নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়।
এ ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হচ্ছেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী(তালা), খাজা আহম্মেদ ভুঁইয়া(হাতি), রফিক আহম্মদ তালুকদার(ঘুড়ি), মোহাম্মদ ফরুক আহমেদ(অটোরিক্সা), মানিক মিয়া(উটপাখি), আহসান হাবিব(টিপিন ক্যারিয়ার), জাকির হোসেন(বৈদ্যুতিক পাখা), বিপ্লব সরকার(টিউবওয়েল)।
অন্য দু’টি ওয়ার্ডের চেয়ে ৯নং ওয়ার্ডের হিসাব একটু ভিন্ন । এর অন্যতম কারণ চাঁদপুর সদরের দু’টি এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠন করার কারনে এখানে আঞ্চলিকতা প্রাধান্য পেতে পারে। তবে প্রার্থীর সংখ্যাও বেশী।
এমপি সমর্থীত প্রার্থি হিসাবে তালা প্রতীকের মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী আছেন আলোচনার শুরুতে। ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক এবং দুই উপজেলায় সেতু বন্ধন হিসেবে পরিচিত অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ফারুক আহমেদও আছেন আলোচনাতে।
নির্বাচনে দৌড়ে সমান তালে এগিয়ে আছেন ঘুড়ি প্রতীকের রফিক আহম্মদ তালুকদার
এছাড়া সংরক্ষিত ৩নং ওয়াডে(৭,৮,৯ নং) উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেবেকা সুলতানা স্মৃতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মাস্টারের মেয়ে জোবেদা মজুমদার খুশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ১: ০০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ