আতাউর রহমান সোহাগ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটি।
মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভা ও ৪টি গরু জবাই করে গণভোজেরও আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী সমর্থক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় ৪/৫ হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।
সাবেক এমপি পুত্র চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, আওয়ামী পরিবারের সদস্য, ফরিদগঞ্জের চরকুমিরা গ্রামের আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দীন বাবুল পাটওয়ারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে বলতে চাই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে চলছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী ফরিদগঞ্জ আসনে যাকেই মনোনয়ন দিবেন তার বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানাচ্ছি যে, ফরিদগঞ্জে জনগণের সাথে যে জনপ্রিয় নেতা সক্রিয়ভাবে মাঠে আছেন তাকে যেনো নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আমি অনুরোধ করছি কেউ আওয়ামী লীগ হয়ে আওয়ামী লীগের সাথে হিংসা কিংবা বিরোধীতা করবেন না, মনে রাখবেন আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের লোক। দলের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিজেদের ভোট কমাবেন না।’
সভাপতির বক্তব্যে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. জাহিদুল ইসলাম রোমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করে বলেন, জননেত্রী যাকেই মনোনয়ন দিবেন তার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ কোন ব্যক্তির নির্বাচন নয়, এ নির্বাচন জননেত্রীকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার নির্বাচন।
তিনি আরো বলেন, শুধু এমপি হতে রাজনীতি করতে আসবেন এই নীতি পরিহার করতে হবে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্তরিক ভালোবাসা দিয়েই জনকল্যাণে স্বার্থে কাজ করাই প্রকৃত রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। দয়া করে দলের মধ্যে আর বিভেদ সৃষ্টি করে আওয়ামী পরিবারের সদস্যদেরকে অবমূল্যায়ন করবেন না।’
এসময় অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাসেম কন্ট্রাকটার, সাবেক এমপি পুত্র ও বিশিষ্ট আ’লীগ নেতা আমির আজম রেজা, অধ্যক্ষ এম তবিবুল্লাহ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খলিলুর রহমান।
জেলা পরিষদের সদস্য ও পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিপন এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনের পরিচালনায় শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্টি আ’লীগ নেতা আবু তাহের সরকার, আব্দুর রহিম খোকন, তোপায়েল আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম, জাকির খাঁন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এড. মাহাবুব আলম, কামরুজ্জামান সবুজ, নূরের রহমান সুমন, বুলবুল আহম্মেদ, সুমন,
জহিরুল হক ভূঁইয়া, মনির হোসেন, মাহিন মেম্বার, দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান, ফয়সাল আহেম্মেদ মুন্না, সুমন আহম্মেদ, সুমন খাঁন, কামরুল সরকার, মাহাবুব আলম, রুবেল সরকার, ইউপি সদস্য মাহিন উদ্দিন, রাসেল আহম্মেদ ভূইয়া, স্বপন আহম্মেদ, রাসেল বেপারী, পৌর আ’লীগহ নেতা মিজানুর রহমান, পৌর যুবলীগ নেতা ফিরোজ আলম, আরমান হোসেন আমিন,
ভুট্ট মিয়াজী, বেলায়েত হোসেন রিপন, মোশারফ হোসেন তানভরি হোসেন মিঠু, মোহন মিয়াজী, কাউসার, উপেজলা যুবলীগ নেতা জাহির হোসেন, কাইয়ুম গাজী, শাহেদুল আলম, আক্তার হোসেন, জসিম উদ্দিন, এমরান হোসেন আমিন, জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রুবেল, বাকী বিল্লাহ, নাঈম হোসেন, আলী হোসেন, নাছির আহম্মেদ, মেহেরাজ, মাহাবুবুর রহমান, তারেক মিজি, ফয়সাল, সঞ্জিব সরকার,
ইস্রাফিল, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সফিকুর রহমান, হান্নান তালুকদার, রিয়াদ হোসেন, নবির আহম্মেদ, সোহাগ, সাত্তার হোসেন, নছির কবিরাজ, মেহেদী হাছান বাপ্পী মিলন, ফরিদ প্রমুখ।
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ