চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক:
৮ দিন পর মুক্তির স্বাদ পেলো ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শরাফত উল্লা। সন্তান মহসিন ও স্ত্রী শরাফত উল্লাকে মানসিক রোগী সাব্যস্ত করে শিকলবন্দি করার ৮দিন পর চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুনাহার ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় শরাফত উল্লাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় শরাফত উল্লার সন্তান মহসিনকেও নিয়ে আসা হয়। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনয়নের শাশিয়ালী গ্রামে এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। থানা হেফাজতে এসে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত হওয়ার পর শরাফত উল্লা বলেন, আমি এখন অনেক ভালো আছি। অনেক দিন পর শিকল ও তালার বাঁধা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।
ফরিদগঞ্জ থানার এস আই ইব্রাহিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, নির্দেশনা পেয়ে শাশিয়ালী গ্রাম থেকে শরাফত উল্লাকে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছি। এ সময় শরাফত উল্লার ছেলে মহসিনকেও থানায় নিয়ে আসার কথা তিনি জানান।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাশিয়ালী গ্রামের শরাফত উল্লার সাথে তার স্ত্রী ও সন্তান মহসিনের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস পূর্বে শরাফত উল্লাকে তার ছেলে মহসিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী শরাফত উল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসা শেষে শরাফত উল্লা বাড়ি এসেই ছেলে মহসিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে ফেলে। এরপর থেকেই শুরু হয় বাবা-ছেলের চরম দ্বন্দ্ব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন পাটওয়ারী বলেন, শরাফত উল্লা কোনো পাগল কিংবা মানসিক রোগী নন। এরা বাবা ছেলে দুজনই উগ্র স্বভাবের।
এদিকে বৃদ্ধ পিতাকে সন্তান কর্তৃক শিকল দিয়ে আটকে রাখার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে উপজেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কামরুল হাসান সউদ বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ উদ্যোগী হওয়ায় শরাফত উল্লা শিকলবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur