সানাউল হক, ফরিদগঞ্জ। আপডেট: ১০:০০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফরিদগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ কয়েক দিন পরেই ঈদুল ফিতর ও দূর্গা পূজা আসছে। এসময় দোকানে বেচা বিক্রি ভালো থাকে। কিন্তু দিনের বেলায় অধিকাংশ সময় বিদ্যু না থাকাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বড় মার্কেট গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকার হয়ে যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওর্য়াডে বিদ্যুৎ না থাকায় মাত্রারিক্ত গরমে রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে তিনটি জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় রোগীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগি একজন গ্রাহক ক্ষুব্দ হয়ে বলেন, “কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন বিদ্যুতের লাইন জোড়া দেওয়া হচ্ছে, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, নতুন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, খুঁটি পড়ে গেছে ইত্যাদি। জেলার আর কোন উপজেলাতে এই রকম মাত্রারিক্ত লোডশেডিং-এর নজির নেই। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুত চলে যায়। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘিœত হচ্ছে।”
এসর্ম্পকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাপমাত্রা বৃদ্বির সাথে লোডশেডিংও বেড়ে গেছে। লোডশেডিং বেড়ে যাওয়াতে গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে। কয়েকদিন পরেই ফরিদগঞ্জ উপজেলায় শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সর্বমোট ১৫টি মন্দিরে আলোকসজ্জা করা হবে। এসময় যদি লোডশেডিং থাকে তাহলে মন্দিরে আসা দর্শণার্থীরা আলোকসজ্জা দেখা থেকে বঞ্চিত হবে।”
পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এর বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।