ফরিদগঞ্জে রাতের আধারে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ

ফরিদগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ জোরপূর্বক রাতের আধারে জমি দখলের জন্য ঘর নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

২০০১ সালে এই জমির বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণ কার হয়েছে। দেওয়াল নির্মাণ করার সময় কোন ধরনেন বাঁধা বা জমি পাওনার দাবী না করে দীর্ঘ ২১ বছর পর জায়গা পাবে বলে সন্ত্রাসী কায়দায় দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়। যা বিচারাদিন আদালতে রয়েছে। এ বিষয়ে যদি দ্রুত কোন সমাধান না হয়, তা হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

২১ জানুয়ারি শনিবার ভোর ৫ টায় উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চৌমুখা গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, র্দীঘদিন ধরে সেলিম মাষ্টার দের সাথে একই বাড়ির মনিরদের মাঝে এই জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এই নিয়ে উভয় পরিবারের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে আছে প্রবাসী মনির হোসেন। বিভিন্ন ভাবে জমি দখল নিতে ব্যবহার করছে ভিবিন্ন প্রক্রিয়া। এমনটি জানিয়েছেন ভোক্তভুগি পরিবার।

জমির মালিক সেলিম মাষ্টার বলেন, এই জমি আমাদের ক্রয়কৃত জমি। আমাদের নামে খাজনা খারিজ রয়েছে। তারা আমাদের সাথে জামেলা সৃষ্টি করার জন্য কোন এক ওয়ারশদের কাছে থেকে একটি দলিল সৃষ্টি করে টাকার জোরে সন্ত্রাসী কায়দায় বার বার আমাদের জমি দখল নিতে হামলা চালায়। ভিবিন্ন ভাবে ক্ষয় ক্ষতি করে। শ

নিবার ফজর নামাজের পর পরে ভাড়াটিয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করে। আমারা বাঁধা দিতে গেলে অস্ত্র নিয়ে আসে মেরে পেলার জন্য। আমরা ভয়ে যেতে পারিনা। কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ ফোন করে প্রানে রক্ষা হয়। আমাদের বাড়ির সাবেক মেম্বার বতু ও এলাকার তুহিনসহ ২০/২৫জন এসে এই হামলা করে এবং ঘর নির্মাণ করে।

মনির হোসেন ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হামলাকারীদের সাবেক মেম্বার বতু মিয়া ও তুহিন বলেন, এই জমি মনির মিয়ার তার জমিতে আমরা ঘর নির্মাণ করতে গিয়েছি। তারা আমাদের উপরও তারা হামলা করেছে।

রাতে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাববে বলেন, রাতে না সকালে ফজরের পরে। অপর প্রশ্নের জবাবে তুহিন বলেন, মনির মিয়া আমাকে তার জমি দেখাশোনা করার জন্য লিখিত দিয়েছে। তাই আমি গিয়েছি।

ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, আমি সকালে শুনেছি রাতে নাকি সেলিম মাষ্টারদের জমিতে ঘর তুলেছে। পুলিশ এসে আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবো সমাধান করা যায় কিনা।

৯৯৯ ফোন পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই শফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে বলেছি কোন প্রকার জামেলা না করার জন্য। যাতে করে আইন শৃঙ্খিলা ভঙ্গ না হয়।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

Share