ফরিদগঞ্জে রাতের আধাঁরে অগ্নিকান্ডে পরিত্যক্ত বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক দেড় লক্ষাদিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন বসত ঘরের মালিক জুলহাস বেপারী।
১৯ মার্চ শনিবার রাতের আধাঁরে আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে পরিত্যক্ত একটি টিনের চৌচালা ঘর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে। পুরোনো ঘরটি বাড়ির বিভিন্ন মানুষের রান্নায় ব্যবহার করার শুকনো পাতায় ভরপুর ছিল। মানুষের বসবাস না থাকায় ঘরটিতে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ ছিল না। কী থেকে, কীভাবে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগার বিষয়ে ঘরের মালিক জুলহাস বেপারী ২০ মার্চ রোববার ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘরটি পরিকল্পিত ভাবে পুড়িয়েছে বলে দাবি করে, মিলন বেপরী (২৬) ও গফুর বেপরী (২৮) কে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জুলহাস। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে সাথে বেপারী বাড়ীতে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা সন্দেহ করছেন, হিংসার বশবর্তী হয়ে হয়তোবা কেউ এই আগুন লাগাতে পারে। কেউ কেউ বলাবলি করছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে এই আগুন লাগানো হয়েছে।
এদিকে ফরিদগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় চাঁদপুরের ফায়ার সার্ভিস একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসতে আসতে ততক্ষনে স্থানী লোকজনের সহযোগীতা আগুন নিয়ন্ত্রয়নে আনতে সক্ষম হয়।
ঘরের মালিক জুলহাস বেপারী বলেন, গত দুই বছর আগে আমরা মিলনদের কাজে জমি বিক্রয় করি। সেই জমি বিক্রয়ের ৭০হাজার টাকা আমরা এখন পাওনা রয়েছি। টাকা চাইতে গেলে আমাদের কে মারধর করবে বলে হুমকি দিয়ে থাকে। আমাদের বস ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিবে বলে হুমকি দিত। গত শনিবার রাতের আধারে মিলন ও গফুরসহ তারা আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। আমরা তার সুষ্ট বিচার দাবি করছি।
বিবাদী মিলন বলেন, জুলাহাস আমাদের কাছে টাকা পাবে ঠিক আছে। আমরা বলেছি কয়েক দিন পরে দিয়ে দিবো। কিন্তু আমরা তাদের ঘরে আগুন দেই না। প্রয়োজন হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হক।
তদন্তকারী অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২১ মার্চ ২০২১