ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে বৃদ্ধাকে গাছের সাথে বেঁধে রক্তাক্ত জখম

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পূর্ব শত্রুতা নিয়ে খাদিজা বেগম (৬০) নামে এক
বৃদ্ধাকে রাতের আঁধারে গাছের সাথে বেঁধে একাধিক ব্লেডের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বৃদ্ধা বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৩ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার সাছিয়া খালি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের আবদুল ছাত্তার পাটওয়ারীর স্ত্রী।

আহত বৃদ্ধা খাদিজা বেগম জানায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে একই এলাকার ইসমাইল পাটওয়ারীর কাছে তিনি বাড়ির পাশের ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। বিক্রির সময় ইসমাইল পাটওয়ারী তাঁকে অল্প কিছু টাকা দেন। জমি বিক্রির কয়েক মাস পরে এসে ইসমাইল পাটওয়ারী তার পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে ওই জমি সাফ কাওলা করে খাদিজা বেগমকে ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ইসমাইল পাটওয়ারী পুনরায় আবার সে জমি তাকে সাফ কাওলা করে দিতে বলে ফেরত চান। খাদিজা বেগম তা দিতে রাজি না হওয়াতে তাদের মাঝে দন্ধ চলতে থাকে। ঘটনার আগের দিন বিকেলেও এ নিয়ে তাদের উভয় পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়।

ওই ইসমাইল পাটওয়ারীর ছেলে মহিন পাটওয়ারী ও তার মামাতো ভাই বাসু বেপারী বৃদ্ধা খাদিজা বেগমকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলেন, তার কাছ থেকে জোর করে টিপ সই নিয়ে ওই জমি ফিরিয়ে নিবেন।

খাদিজা বেগমের অভিযোগ, তারই সূত্র ধরে ঘটনার পরদিন শুক্রবার রাতে তিনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে বেরুলে মহিন পাটওয়ারী ও তার মাতা সুফিয়া বেগম এবং মামাতো ভাই মহিন বেপারী খাদিজা বেগমকে পেছন থেকে মুখ চাপ দিয়ে বাগানে নিয়ে ওড়না দিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে তার শরীরে একাধিক ব্লেডের আঘাত করেন। এসময় তারা জোর পূর্বক তার হাতের টিপ সই নিতে চান। পরে খাদিজা বেগমের চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে আঘাতকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে পরিবারের লোকজন আহত খাদিজা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার উজ্জল পাটওয়ারী জানান, তাদের মাঝে ৪২ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এমন ঘটনার কথা তারা আমাকে জানিয়েছেন। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিনি তার নিজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, যখন ঘটনা ঘটে তখন মহিন দোকানের কাছে ছিলো।

তাহলে কারা ওই বৃদ্ধাকে আঘাত করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তারাই বলতে পারবে কারা তাকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছে।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

Share