চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রিপন হোসেন (৩৮) নামে যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
৯ জানুয়ারি সোমবার উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রিপন হোসেন লড়াইরচর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।
জানাযায়, লড়াইরচর গ্রামের রিপন হোসেনের সাথে একই গ্রামের রাসেল তপাদার (৩৮), লেদু মিয়া তপাদার (৬৫), শফিক চাঁন গাজী (৬০) ও সাইফুল চাঁন গাজী (৩৬) এর বিরোধ ছিলো। সোমবার দুপুরে রিপন তপদার বাড়ির সামনে দিয়ে আলীগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিল। এসময় রাসেলসহ ৬ থেকে ৭ জন ধারালো অস্রদিয়ে রিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
পরে রিপনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন রিপনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে রিপন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় একইদিন রাতে রিপনের স্ত্রী আঁখি বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রিপনের স্ত্রী আঁখি জানান, রাসেলগংরা আমার স্বামীকে ধারালো অস্র দিয়ে হত্যার উদ্যেশে মাথায়, দুই হাতে ও পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫টি কোপ দিয়েছে। আমার স্বামী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
তবে কি কারনে রাসেল আপনার স্বামীকে কুপিয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাসেলের সাথে আমার স্বামীর কোন ধরনের বিরোধ ছিল না। তবে রাসেলের ঘর থেকে পুলিশ ইতোপূর্বে ৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। রাসেলের স্ত্রী ওই মামলায় জেল খেটেছে এবং ওই মাদক মামলায় আমার স্বামী সাক্ষী ছিলো। আর শফিকদের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। তার জন্য উভয়ে জোটগত ভাবে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই নুরুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে রাতেই শফিক চাঁন গাজীকে আটক করি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অপিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মান্নান জানান, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১০ জানুয়ারি ২০২৩