Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে মেয়র-চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে, ব্যাহত নাগরিক সেবা
মেয়র

ফরিদগঞ্জে মেয়র-চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে, ব্যাহত নাগরিক সেবা

ছাত্রদের বৈষম্য আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থবির হয়ে পড়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম। আওয়ামী লীগপন্থি উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বেশির ভাগই এখন আত্মগোপনে। অনেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে উন্নয়নমূলক কাজ, ট্রেড লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুসনদ প্রদান কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা। তবে কেউ কেউ কর্মস্থলে না এসেও অজ্ঞাত স্থান থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে স্থবিরতা নিরসনে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অনুপস্থিতদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগপন্থি। সরকার পতনের পর হামলার আশঙ্কায় তারা এলাকা ছাড়েন। ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিষদ ও চেয়ারম্যানের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদারসহ পরিষদের অন্য সদস্যরা গোপনে রয়েছেন। এদিকে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী ও আওয়ামী লীগপন্থি প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলররা উধাও। মাঠে আছেন বিএনপিপন্থি ২ কাউন্সিলর। পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা জানান, পৌরসভার কার্যক্রম অনেকটা স্থবির। বেড়েছে উপকার ভোগীরা
ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এদিকে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে বালিথুবা পূর্ব, গুপ্টি পশ্চিম, পাইকপাড়া দক্ষিণ, গোবিন্দপুর উত্তর গোবিন্দপুর দক্ষিণ, চরদুঃখিয়া পূর্ব, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ, রুপসা উত্তর ও রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোট ৯ জন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সরকার পতনের পর তারাও আত্মগোপনে। কারও কারও বাসায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। হামলার ঘটনার দুইদিন পর থেকেই প্রতিনিয়ত অফিস করছেন গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ।

তিনি বলেন, আমি সর্বদাই দল মত নির্বিশেষে সকল পাশে ছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় দুইদিন পর থেকেই প্রতিনিয়ত অফিস করছি এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছি।

এছাড়া গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, রুপসা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়িতে ও রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে মুঠোফোনে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তারা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা পরিষদে আসবেন এবং প্রতিনিয়ত মানুষের সেবায় কাজ করবেন।

এ বিষয়ে জানতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডলের মুঠোফোন কয়েক বার ফোন করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র কেন নিজ নিজ পরিষদের যাচ্ছেন না তা আমার জানা নেই। আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সমস্যা নিরসনে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৩ আগস্ট ২০২৪