Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে মিষ্টিমুখ করে ২৫ বছরের শত্রুতার অবসান
ফরিদগঞ্জে মিষ্টিমুখ করে ২৫ বছরের শত্রুতার অবসান

ফরিদগঞ্জে মিষ্টিমুখ করে ২৫ বছরের শত্রুতার অবসান

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে দ্বন্ধের জের ধরে দু’পরিবারের মধ্যে আশীলন আচরণ, নারী সংক্রান্ত মামলা, অনৈতিক কর্মকান্ড, ইভটিজিংসহ নানা বিষয়ে তীব্র বিরোধের সৃষ্টি হয়।

সর্বশেষ ২৭ আগস্ট চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবর এধরনের একটি অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন।

থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশের হস্তক্ষেপে থানার ওসি শাহআলমের উপস্থিতি উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিশী করে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ২৫ বছরের দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটান। ফলে একে অপরকে মিষ্টি মুখে করিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামের শাহাজাহান গাজী ও নুর মিয়া গাজীর দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৫ বছর পুর্বে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নারী ঘটিত, ইভটিজিং এবং জমি দখলসহ নানা বিষয়ে আদালতে ও থানায় একাধিক মামলা দায়ের করে।

সবশেষে শাহাজাহান গাজীর মেয়ে শাহানাজ বেগম গত ২৭ আগস্ট প্রতিপক্ষ জুয়েল গাজীসহ একাধিক লোকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ও হামলার অভিযোগ তুলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দয়ের করে।

পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বিষয়টি তদন্তের জন্য ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশকে দায়িত্ব প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি শাহআলমের উপস্থিতিতে সোমবার উভয় পক্ষের সকল লোকজনকে নিয়ে সালিশীর বৈঠকে বসে ২৫ বছরের বিরোধের মিমাংসা করে দেন। পরে উভয় পক্ষ পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে নিজেদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের ঘোষণা দেন।

শাহানাজ বেগম জানান, পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমরা দীর্ঘ দিনের নিজেদের মধ্যকার বিরোধ শেষ করতে পেরেছি। জুয়েল গাজী জানান, অবশেষে আমরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারছি । বিরোধের অবসান হয়েছে।

ইউপি সদস্য আমান উল্যা আমান বলেন, দীর্ঘ বিরোধ দু’টি পরিবারকে অনেক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। অবশেষে তা শেষ হলো।

এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশ জানান, সদিচ্ছা থাকলে বড় ধরনের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, আজ তার প্রমাণ হলো ।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ৭: ২০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply