চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি এলাকায় একটি পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুপ্টি গ্রামের দত্তের বাড়ির মৃত- বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান গংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একই বাড়ির সোলেমান ভাটের ছেলে সুজন ভাটের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
৬ মার্চ সুজন ভাট বাড়ির পুকুর থেকে ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য মিজানুর রহমানের কাছে অনুমতি চাইলে তিনি নিষেধ করেন। পরে একই দিন সন্ধায় স্থানীয় গুপ্টি বাজারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ হোসেনের সামনে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই সময় ওই বাজারে কোন ধরনের মারামারি না হলেও সুজন ভাটকে মারধরের অভিযোগ এনে পরের দিন মিজানুর রহমানসহ তার ৫ ভাইকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। তবে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে মারামারির বিষয়ে কোন ধরনের প্রমান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগকারী সুজন ভাট জানান, গুপ্টি বাজারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ হোসেনের সামনে গুপ্টি এলাকার ইসমাইল হোসেন সোহাগ তাকে থাপ্পড় মারে। তবে মিজানগংদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কেন? এর জবাবে সুজন কোন উত্তর দিতে পারেনি।
মিজানুর রহমান বলেন, সুজনের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা ছিলনা। কিন্তু সুজন ভাট গত ৩ ফেব্রুয়ারী আমাদের ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে তার উপর হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলার আলোকে পুলিশ আমাদের দুই ভাইকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। পরে আমরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আসার পর প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
স্থানীরা এলাকার অনেকেই বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের সময় সুজন এবং মিজানগংদের সাথে কোন ধরনের মারামারি হয়নি। মিজান ও তার ভাই পুলিশের হাতে আটকের পর এলাকাবাসী জানতে পারে এলাকায় নাকি মারামারি হয়েছে। গত ৬ তারিখে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোন ধরনের মারামারি হয়নি।
মামলার স্বাক্ষী আঃ কাদের ভাট এর কাছে ৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সুজন ভাটের উপর হামলার সময় আপনি ঘটনাস্থলে ছিলেন কিনা?
জবাবে তিনি বলেন, আমি ওই সময় বাড়িতে ছিলাম এবং মামলার অপর স্বাক্ষী খায়েরী বেগমকে প্রশ্ন করার পর কোন উত্তর না দিয়ে তিনি চলে যায়।
ইউপি সদস্য মো. শহীদ হোসেন বলেন, সুজন এবং মিজানদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে, কোন ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া সোহাগের সাথে সুজনের কথাকাটি হয়েছে। পূর্বের মারমারির বিষয়ে আমরা অবগত নই।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহাজান পাটওয়ারী বলেন, আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কারী অফিসার এস.আই নাছির আহাম্মেদ জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারী হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে আসামীদেও আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ৬ মার্চ গুপ্টি বাজারে সুজনের সাথে মারামারির ঘটনায় ও সুজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করে। তিনি আরো বলেন মামলা চলমান রয়েছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ১৫ মার্চ ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur