ফরিদগঞ্জে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে কারাগারে প্রেরণ

ফরিদগঞ্জে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে‌। মাকে জবাই করে বাবা আতর খানকে ফোন করে বলেছে মাকে জবাই করে দিয়েছি বাড়িতে আসো। এরপর ঘাতক ছেলে রাসেল(২৭) পালিয়ে যায়। বাবা আতর খাঁন পাশের ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজ করে। ওই কথা শুনে বাড়িতে এসে দেখে নিজ স্ত্রী রানু বেগমের জবাই করা মৃত দেহ ঘরের খাটের উপর পড়ে আছে। এসময় উনার ডাকচিৎকারে আসপাশের লোকজন এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়।  পুলিশ রানু বেগমকে জবাই করে হত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। রানু বেগমকে খুনের প্রায় ছয় ঘন্টা পর রাত আনুমানিক ৯ টার সময় ফরিদগঞ্জ পৌরসভাদিন কেরোয়া এলাকা থেকে ঘাতক রাসেলকে আটক করে পুলিশ। এরপর আতর খান স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুর ৩ টায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে  আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। 

তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়ির আতর খানের ছোট ছেলে রাসেল খানকে বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় তার মা রানু বেগমকে জবাই করে হত্যা করে। পরে সে বিষয়টি তার বাবা আতর খানকে মুঠোফোনে জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আটককৃত রাসেলের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধান কাটার কাঁচি ও তার ব্যবহৃত (লুঙ্গি- সার্ট) আলামত জব্দ করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ ইসমাইল হোসেন ও রুবেল ফরাজীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Share