আপন ভাইকে নিয়োগ দিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি এইচ এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা। মাদ্রাসার ফকীহ ও মুহাদ্দিস নিয়োগে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লার ভাই হাবিবুর রহমান মোল্লা উপজেলার কামতা ডি. এস. ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় এবং মোঃ মোশারফ হোসেন মান্দারী আলিম মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। নিয়মানুসারে পদ দুইটিতে নিয়োগ পেতে ফাযিল/কামিল মাদ্রাসায় ৮ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা ঘাটতি থাকার পরও ভাই হাবিবুর রহমান মোল্লাকে ফকীহ পদে এবং মোশাররফ হোসেন নামে অপর একজনকে মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন অধ্যক্ষ মুফতি এইচ এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা। এদের মধ্যে মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে কাগজপত্র জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বেতন গ্রেড অবনমিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলিম পর্যায়ের এমপিওর অভিজ্ঞতা নিয়ে দুই জন শিক্ষক কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছালেন? আবেদন যাচাই বাছাইয়ে কেন তাদের অযোগ্যতাসমূহকে আমলে নেওয়া হয়নি? এ সকল প্রশ্নের সদুত্তোর দেননি অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লা। আপন ভাইকে নিয়োগ প্রদানের স্বার্থে তিনি এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের প্রতিবাদ তিনি করেননি। মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সভায় উপস্থিত ছিলেন কিনা? এর উত্তরে সভাপতি অনুপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছলো এর উত্তর দেননি তিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কারণে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। এমন অভিযোগের সত্যতা তিনি নিশ্চিত করেন।
সার্বিকভাবে অনিয়মের দায় তিনি এড়াতে পারেন কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি দায় এড়াতে পারেননা বলে স্বীকার করেন। অনিয়মের দায়ে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এইচ এম আনোয়ার মোল্লা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে অনিয়ম হয়েছে তার দায় আমি এড়াতে পারিনা। এই নিয়োগ বাতিল করে শীঘ্রই গভর্নিং বডির সভার মধ্য দিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৩ অক্টোবর ২০২৪