চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে পুড়িয়ে দেয়া মোটরসাইকেলটি প্রতিপক্ষের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ জুন) পুলিশ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ভূইয়া বাড়ির মো. মফিজুল ইসলাম মিলন ভূঁইয়ার রান্নাঘর থেকে সম্পন্ন পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
এঘটনায় মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মফিজুল হক ভূইয়া গংদের সাথে নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া গংদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছিলো।
নজরুল ইসলাম ভূইয়া তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাঁদপুরে বসবাস করেন। প্রতিসপ্তাহে একবার তার পরিবারের সদস্যরা কামালপুরে গ্রামে বাড়িতে এসে বাড়িঘর দেখাশোনা করেন।
এ সর্ম্পকে মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১ বিকেলে বাড়ি থেকে পাটওয়ারী বাজারে গেলে প্রতিপক্ষের মো. মফিজুল ইসলাম মিলন ভূঁইয়া, মো. আমিন উল্ল্যাহ ভূইয়া, মো. সবুজ ভূইয়া, মো. সজীব ভূইয়া, মো. মজিবুল হক মানিক ভূইয়া, মো. জুলফু বেপারী, ও মো. রাসেল হোসেনসহ আজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ ব্যক্তি সকলের সমানে থেকে আমার পালসার-১৫০ মোটরসাইকেলটি জোর পূর্বক চিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে বহু চেষ্টা করেও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর রোববার পুলিশ পোড়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে লোকজন চিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে বাড়িতে গেলে মফিজুল হক ভূঁইয়া গংরা মসজিদের মাইকে ডাকাতের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করে এবং উপস্থিত লোকজনের ওপর হামলা করে।
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে মারধরের শিকার হলাম আমরা, মোটরসাইকেল পুড়লো আমাদের। আবার প্রতিপক্ষের দেওয়া মিথ্যা মামলায় আমার বাবা-মা, ভাইকে হয়রানি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচরা দাবি করছি।
এসর্ম্পকে পাটওয়ারী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম মেম্বার বলেন, মো. মফিজুল ইসলাম মিলন ভূঁইয়া গংদের লোকজন মোটরসাইকেলটিকে বাজারের পূর্ব মাথায় ভাংচুর করে ভ্যানগাড়িতে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। গত রোববার পুলিশ ওই বাড়ি থেকে পোড়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
এসর্ম্পকে এস আই ওমর ফারুক বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে কামালপুর থেকে পুড়ে যাওয়া পালসার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে আনিত সকল অভিযোগ অ-স্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষের মো. মজিবুল হক মানিক ভূইয়া। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন স্থানীয় জনগণ ডাকাত ভেবে আটককৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন,‘তাহমিনা বেগমের দায়ের করা মামলাটি সম্পন্ন মিথ্যা হয়রানিমূলক। আর সম্পত্তিগত বিরোধ থাকলেও আমরা কারো ওপর হামলা করিনি।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদগঞ্জ