ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে ছোট ভাইয়ের সাথে বড় ভাই-ভাবীর প্রতারণা

যৌথভাবে সম্পত্তিক্রয়ের টাকা নিয়ে ভাইয়ের অংশ না দিয়ে পুরোটাই স্ত্রী ও নিজের নামে লিখে নেওয়া, মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু মৃধা প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চু মৃধা তার বড় ভাই মো. টেলু মৃধা (৫৫) ও ভাবী আয়েশা বেগম (৪০)-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ আনেন।

প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জের সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সোহাগের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাচ্চু মৃধা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিরেন, ১৯৯৪ সালে নিজ গ্রামের জনৈক ইসলাম খাঁনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে স্থানীয় মান্নান মোল্লা ও মহসিন ভূঁইয়ার মধ্যস্থতায় ১’শ ২৫ শতক সম্পত্তি ক্রয় করতে বায়না হিসেবে ১ লাখ টাকা প্রদান করেন।

পরে তিনি আবার পুণরায় প্রবাসে চলে যান। সেখানে গিয়ে মো. আহছান উল্ল্যাহ হাজীর মাধ্যমে বায়নাকৃত সম্পত্তির আরো ১ লাখ টাকা প্রদান করেন।

সম্পত্তির সর্বমোট দাম নির্ধারণ করা হয় ৩’লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।

তাৎক্ষণিক বাকি টাকা জোগাড় করতে না পারায় বাচ্চু মৃধা তার আপন ভাই মো. টেলু মৃধাকে বাকি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে সম্পত্তির অংশীদার হতে অনুরোধ করেন।

যার শর্ত ছিলো টাকা দু’জনের সমান না হলেও উভয়ই ভূমির সমান অংশিদার হিসেবে দলিল করবে। কিন্তু বাচ্চু মৃধা প্রবাসে থাকার সুযোগকে বড় ভাই টেলু মৃধা কাজে লাগিয়ে নিজ ও স্ত্রীর নামে সম্পূর্ণ সম্পত্তি লিখে নেয়।

সম্পত্তির অংশ বাচ্চু মৃধাকে বুজিয়ে না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আমি দেশে আসার পর ঘরোয়াভাবে বসে সম্পত্তি রেজি: সংক্রান্ত বিষয়টি মিমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঘরোয়াভাবে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় বাচ্চু মৃধা ইউপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে টেলু মৃধা ইউনিয়ন পরিষদে বসে ২ মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়ে ৪/৫ দিনের মাথায় গোপনে সৌদি আরব চলে যান।
পরে আয়েশা বেগম, আমার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু তথ্য প্রমাণের সতত্য না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।

এদিকে জমির বায়নার পরপরই দখল রাখা সুবাধে বাচ্চু মৃধা বনজ ও ফলদ গাছ লাগান। তখন বাড়ি করার উদ্দেশ্যে ওই সম্পত্তির সামনে ১৫ শতাংশ জমিতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঁচা রাস্তাও তৈরি করেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাচ্চু মৃধা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সালিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:১০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Share