ফরিদগঞ্জ

চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য থেকে দৃষ্টি এখন উপজেলা চেয়ারম্যান

চাঁদপুর জেলা পরিষদে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম রিপনের নজর এখন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়া। সে লক্ষ্যে তিনি প্রচার-প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।

প্রতিদিনই তিনি কোন না কোন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন এবং গণসংযোগ করে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এ্যাড. সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা মো. সাইফুল ইসলাম রিপন জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তিনি ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চরকুমিরা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির কৃতি সন্তান।

জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। মার্চ মাস থেকে কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে এই নির্বাচন।

এদিকে গত মঙ্গলবার চান্দ্রা দরবার শরীফের পীর মাও. সাইফুল্লাহ রহ. মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হয়েও কেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রার্থী হবেন সাইফুল ইসলাম রিপন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদে বরাদ্ধকম থাকায় জনগণকে আশানুরুপ সেবা দিতে পারছি না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এখন মাত্র ৬টি ইউনিয়নের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। যদি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে সমগ্র উপজেলাবাসীর সেবা করার সুযোগ পাবো।’

সামাজিক নানা উন্নয়ন কাজ সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘আমি জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার পর প্রাপ্ত বরাদ্ধ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সহিত বন্টন করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মসজিদে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। এছাড়া ঈদগাহ, মাদ্রাসা, শসান, মন্দির উন্নয়ন, গভীর নলকূপ স্থাপন, রাস্তা-কালর্ভাট সংস্কার, শিক্ষানুদান, অসহায়দের রিক্সা প্রদান, দুস্থঃনারীদের সেলাই মেশিন প্রদান ও অসহায়দের চিকিৎসা অনুদান এবং অসহায় গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মান করে দিয়েছি।

দলীয় মনোনয়ন সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার চাচা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম। আমার চাচাতো ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি এ্যাড. জাহিদুল ইসলা রোমান।

যিনি সদ্য শেষ হওয়া হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদগঞ্জে আ’লীগের প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম শক্ত প্রতিদ্বনন্দ্বী ছিলেন। জাহিদুল ইসলাম রোমান ভাইয়ের নির্দেশে তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের জন্যে রাজনীতির মাঠে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। এছাড়া গত ২০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। আমার বিশ্বাস আমার অতীত দলীয় কর্মকান্ড দেখে চেয়ারম্যান পদে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’

জনসাধারণের কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে তিনি আরো বলেন, ‘দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে যিনি কাজ করেন তিনি হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা নির্মানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আমি ফরিদগঞ্জবাসীর সমর্থন নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার ভূমিকা কি? সে বিষয়ে ফরিদগঞ্জের জনগনের ভালো ধারণা রয়েছে। সকলের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে ফরিদগঞ্জকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ’

প্রসঙ্গত চাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম রিপন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ৬৬ ভোটের মধ্যে ৪২ ভোট পেয়ে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ফরিদগঞ্জ পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। মাদকবিরোধী সংগঠন সেইফ ফরিদগঞ্জ-এর প্রতিষ্ঠাতা।

প্রতিবেদন- আতাউর রহমান সোহাগ
১১ জানুয়ারি, ২০১৯

Share