ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দ বাজারের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী মো. হিরন হাজীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকার সাধারন মানুষ।
১২ জুন সোমবার বিকেলে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আনন্দ বাজার ব্যবসায়ী মো. হিরন হাজীকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করেছে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এমরান হোসেন।
তারা আরো বলেন, হিরন হাজী ও এমরান মেম্বার একই এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। গত ১০ জুন রাত ১১ টার দিকে হিরন হাজী ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়ার জন্য পশ্চিম সাহাপুর নওশা গাজী বাড়িতে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এমরান মেম্বার ও তার সাহযোগীরা সংযোগ দিতে বাঁধা প্রদান করে, বাঁধা উপেক্ষা করে সংযোগ প্রদানের একপর্যায়ে এমরান মেম্বারসহ তাদ লোকজন দেশী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য হিরনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে হিরন হাজীর মাথা পেটে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। গুরুতর আহতবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মানববন্ধনে বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা এমরান মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য এমরান হোসেন জানান, ১০ জুন রাত ১১ টার দিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে আমার ইন্টারনেট সংযোগ কেটে ফেলা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক আমি আমার ভাইসহ ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি হিরন তার লোকজন নিয়ে আমার সংযোগ কেটে নতুন করে সংযোগ দিচ্ছে, আমি তাকে বাঁধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে হিরন আমাকে কিল ঘুসি মারতে থাকে। আমার ভাই তাতে বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে। পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আমাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে। আর আমার ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, জরুরী সেবা (৯৯৯) কল পেয়ে মারামারির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয়পক্ষকে থানায় অথবা আদালতের স্বরনাপন্ন হওয়ার জন্য বলেছি।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১২ জুন ২০২৩